ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেন অনেকে। লোন নিলে, সেই লোন পরিশোধের দায়িত্ব থাকে। কিছু সময় আর্থিক সমস্যার কারণে লোন পরিশোধ করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে লোন ডিফল্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। লোন ডিফল্ট হলে বহু সমস্যা হতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ক্রেডিট স্কোরের অবনতি।
ক্রেডিট স্কোর ভালো না থাকলে ভবিষ্যতে লোন নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। লোন ডিফল্ট থেকে বাঁচতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) কিছু নিয়ম জারি করেছে। যদি এই নিয়মগুলো মেনে চলা যায় তাহলে লোন ডিফল্টের সম্ভাবনা কমে যায়।
RBI-র নতুন নিয়ম অনুসারে, লোন ডিফল্ট হলে ব্যাংক ঋণগ্রহীতার সাথে আলোচনা করে লোন রিস্ট্রাকচার করতে পারে। লোন রিস্ট্রাকচার মানে হলো লোনের মেয়াদ বাড়ানো বা EMI কমানো। যেমন ধরুন আপনি ১০ লক্ষ টাকার লোন নিয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক সমস্যার জন্য লোন পরিশোধ করতে পারছেন না। এক্ষেত্রে ব্যাংক আপনার সঙ্গে আলোচনা করে লোন রিস্ট্রাকচার করতে পারে।
রিস্ট্রাকচারের মাধ্যমে লোনের মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারেন। তাতে EMI কমে যাবে। লোন রিস্ট্রাকচারের আরেকটি সুবিধা হলো ক্রেডিট স্কোরের অবনতি রোধ করা। লোন পরিশোধ না করলে ক্রেডিট স্কোর কমে যায়। লোন রিস্ট্রাকচার হলে লোন পরিশোধের ইতিবাচক ইতিহাস তৈরি হয়। তাতে ক্রেডিট স্কোরের অবনতি রোধ হয়।
লোন রিস্ট্রাকচার করতে হলে, ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে লোন রিস্ট্রাকচারের জন্য আবেদন করতে পারেন। ব্যাংক বিবেচনা করে লোন রিস্ট্রাকচারের সিদ্ধান্ত নেবে। লোন রিস্ট্রাকচারের জন্য আবেদন করার সময় কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। যেমন, লোন চুক্তিপত্রের কপি, আবেদনপত্র, পরিচয়পত্রের কপি ও আর্থিক অবস্থার প্রমাণপত্র। লোন ডিফল্ট থেকে বাঁচতে RBI-র নতুন নিয়মগুলো মেনে চলা দরকার।