প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার না করলে পিম্পল, হোয়াইটহেডস ও নানান সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ত্বকে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করি, তাহলে ত্বক খারাপ হতে থাকে।
চেষ্টা করা উচিত যে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার রাখার। এতে ত্বক সুস্থ থাকে। মুখ পরিষ্কার করতে বাজারে পাওয়া পণ্য ব্যবহার করেন? কখনও কখনও এই জিনিসগুলি খুব ব্যয়বহুল, আমাদের সাংসারিক বাজেটকে প্রভাবিত করে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাকৃতিক জিনিসের সাহায্যে ত্বক পরিষ্কার করা যায়।
১) আয়ুর্বেদে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল ত্বকের কথা আসে, তখন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞেরা। ত্বকের যত্নের জন্য বেসনকে উপকারী মনে করা হয়। বছরের পর বছর ধরে, খাবার তৈরি থেকে ত্বকের যত্নের জন্য বেসন ব্যবহার হচ্ছে।
ত্বকের যত্নের উপকরণটির জন্যে প্রয়োজনীয় উপাদান হলঃ
২ চা চামচ বেসন
১ চা চামচ দই।
উপকরণটি কি করে তৈরি করতে হয়ঃ
সর্ব প্রথমে একটি পাত্রে ১ চা চামচ দই এর সাথে ২ চা চামচ বেসন যোগ করে ফেটিয়ে নিন।
খেয়াল করবেন এই পেস্ট যেন বেশি ঘন না হয়, এটি শুকিয়ে গেলে শক্ত হয়ে যাবে।
ঘরে তৈরি করুন আপনার ত্বকের জন্যে বেসন ক্লিনজার। সকালে বা সন্ধ্যায় যখনই মুখ পরিষ্কার করবেন তখন এটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যাবহার করতে পেস্টটি অল্প করে নিয়ে মুখে, ঘাড়ে এবং হালকা হাতে ম্যাসেজ করবেন।
এবার ১৫ মিনিট রেখে দিন। বেসনের উপকরণটি শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
বেসন প্রয়োগের উপকারিতাঃ
১) বেসন ত্বকে লাগালে ত্বক পরিষ্কার হবে না, মুখেও উজ্জ্বলতা হবে।
২) মুখের অস্বাভাবিক লোম থাকলে এটি ব্যবহার করুন। বেসন ত্বকে লাগালে মুখ থেকে লোম উঠাতে সাহায্য করে।
৩) ত্বককে তরুণ করার জন্যও বেসন ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বকে মসৃণ এবং কোমল হয়।
দইয়ের উপকারিতাঃ
দুধের মতনই দই খুব পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যের সাথে ত্বকের জন্যও। পেট ঠান্ডা রাখার জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। সেই ভাবে চুল এবং ত্বক উভয় ক্ষেত্রেই দই ব্যবহার করা হয়। মুখ পরিষ্কার জন্য ফেস ওয়াশের পরিবর্তে দই ব্যবহার করুন।
দইয়ের উপকরণ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলিঃ
১ চা চামচ দই
এক চিমটি হলুদ।
তৈরির পদ্ধতি এবং ব্যাবহারের পদ্ধতিঃ
ছোট পাত্রে, ১ চা চামচ দইয়ের সাথে এক চিমটি হলুদ মিশান। এবার ভালো করে মিশিয়ে নিন। দইয়ের তৈরি ফেস ক্লিনজার তৈরি।
এই ফেসওয়াশ ব্যাবহার করতে প্রথমে জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। এবার দই দিয়ে তৈরি ক্লিনজারটি ত্বকে লাগিয়ে ফেলুন। কিছুক্ষণ শুকানোর পর অন্তত ১৫ মিনিট পর মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন ঠাণ্ডা জল দিয়ে।
১) সূর্যালোকের এক্সপোজার ট্যানিং ঘটায়। এমন পরিস্থিতিতে ট্যানিং দূর করতেও দই ব্যবহার করুন।
২) ফাইন লাইনের সমস্যায়ও দই উপকারী। এটি কমাতে দই খুব সাহায্য করে।
৩) ব্রণের দাগ কমাতে ত্বকে দই লাগিয়ে দেখুন।
৪) হাইপারপিগমেন্টেশনের জন্যও দই ব্যবহার করে দেখুন। ব্যবহার করলে এই সমস্যা অনেক কমে যাবে।