উৎসবের মরশুমে ছাত্র-ছাত্রীদের পাতে ইলিশ ও চিংড়ি

Published By: Khabar India Online | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফলতাঃ   উৎসবের মরশুমে ছাত্র-ছাত্রীদের পাতে ইলিশ ও চিংড়ি।

উৎসবের আমেজে ছাত্র-ছাত্রীদের পাতে ইলিশ, চিংড়ি। এমনই অভিনব উদ্যোগ নিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়। পুজোর ঢাকে কাকি অনেকদিন আগেই পড়ে গিয়েছে, আকাশে বাতাসে পুজোর আমেজ আর এই পুজোর আমেজকে গায়ে মেখে পূজোর ছুটির আগে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে উৎসব উদযাপন করল ফলতা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষিকারা।

ফলতা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্যোগে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পুজো পরিক্রমার পাশাপাশি মিড ডে মিলে ছাত্র-ছাত্রীদের পাতে ইলিশ ও চিংড়ি মাছের ভোজের আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই দিন ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে ফলতা এলাকার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিক্রমা করে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।

আরও পড়ুন -  Asian Games: স্থগিত এশিয়ান গেমস

এরপর দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজনে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য মহা ভোজের আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মধ্যাহ্ন ভোজনের মেনুতে ছিল ইলিশ ও চিংড়ি। স্কুল কর্তৃপক্ষর এই অভিনব উদ্যোগ দেখে খুশি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবক অভিভাবিকারা। ফলতা এলাকার বেশিরভাগ মানুষই মৎস্যজীবী কিংবা দিনমজুর।

আরও পড়ুন -  Nude Pictures: রণবীরের বিরুদ্ধে মামলা, নগ্ন ছবি তোলায়

পুজোর দিনেতে অন্যান্যদের মতন আনন্দে মেতে উঠতে পারেনা পরিবার গুলি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের শিক্ষক মন্ডলীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকার মানুষজনেরা। এ বিষয়ে স্কুলের এক ছাত্রী বলেন, পুজোর দিনে পরিবারের সঙ্গে আমরা ঠাকুর দেখতে বেরোই কিন্তু এই স্কুলের স্যারদের উদ্যোগে আমরা স্কুলের বন্ধুবান্ধবদের সাথে একসাথে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছি। আমার খুব ভালো লাগছে। এ বিষয়ে আলতা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর তিনি জানান, ছাত্র ছাত্রীরা আমাদের পরিবারের সদস্য। আজ বিদ্যালয় পঠন-পাঠনের পর পূজোর ছুটি পড়ে যাবে। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আমরা ফলতা এলাকার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ গুলি পরিক্রমা করি।

আরও পড়ুন -  দুর্গাপূজায় শহর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রামকে মানুষের কাছে আরো আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় করা হলো

ছাত্রছাত্রীরা প্রচন্ড খুশি হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের পরিবারের জন্য স্কুলে মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন করা হয়েছে। স্কুলের এই অভিনব উদ্যোগে খুশি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক এবং অভিভাবীকারা।

আমাদের স্কুলের অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অত্যন্ত স্নেহ ও যত্নশীলতার সঙ্গে পড়াশোনা করায় এবং তাদেরকে নিজেদের ছেলেমেয়ে হিসাবে সমাধর করে।