নতুন প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা, পাকিস্তানে

Published By: Khabar India Online | Published On:

শপথ নিয়েছেন বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা পাকিস্তানের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে। তিনি ২৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

ইসলামাবাদের আইওয়ান-ই-সদরে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার, সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং নতুন প্রধান বিচারপতির স্ত্রী সারিনা ইসা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে রবিবার আইওয়ান-ই-সদরে প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাজী ফয়েজ ঈসার শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াতের পর বিচারপতি ঈসার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পাঠ করা হয়। এর পরে প্রেসিডেন্ট আলভি বিচারপতি ঈসাকে শপথবাক্য পাঠ করান।

আরও পড়ুন -  কেউ যাবেন রায়গঞ্জ, কেউ যাবেন শিলিগুড়ি, লকডাউনের জেরে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যস্থলে

বিচারপতি ঈসা ১৯৫৯ সালের ২৬ অক্টোবর পাকিস্তানের কোয়েটায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বেলুচিস্তানের পিশিন শহরের প্রয়াত কাজী মোহাম্মদ ঈসার ছেলে। বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার বাবা পাকিস্তান আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

দ্য ডন জানায়, বিচারপতি ঈসার বাবা ছিলেন বেলুচিস্তান প্রদেশের প্রথম ব্যক্তি যিনি বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর বেলুচিস্তানে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন। তার বাবা বেলুচিস্তান থেকে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির একমাত্র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন -  প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পূর্ব সিকিমে বিআরও’র নির্মিত একটি সড়ক জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন

বিচারপতি ঈসার মা বেগম সাইদা ঈসা একজন সমাজকর্মী ছিলেন। শিক্ষা, শিশু এবং নারীদের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করতেন।

বিচারপতি ইসা ১৯৮৫ সালের ৩০ জানুয়ারি বেলুচিস্তান হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট এবং ১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট হিসাবে নথিভুক্ত হন। তিনি পাকিস্তানের হাইকোর্ট, ফেডারেল শরীয়ত আদালত ও পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে ২৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে আইন প্রাকটিস করেছেন।

আরও পড়ুন -  মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে এত আম আপনারা পাঠিয়েছেন আম ভাগ করতে হিমশিম খেতে হয়েছেঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বেলুচিস্তান হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, সিন্ধু হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ও পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য।

বিভিন্ন সময়ে তাকে পাকিস্তানের হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে ডাকত কিছু জটিল মামলায় তার সহায়তা গ্রহণ করত। তিনি আন্তর্জাতিক সালিশও পরিচালনা করেছেন।

বিচারপতি ইসা ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।

ছবিঃ ফাইল।