ন্যাটো প্রধানের হুঁশিয়ারি, ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য তৈরি হতে

Published By: Khabar India Online | Published On:

সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া, টানা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও রুশ আগ্রাসন বন্ধের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ।

কিয়েভ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। রবিবার প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে স্টলটেনবার্গ সতর্ক করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত শেষ হবে না। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

আরও পড়ুন -  চারটি দেশের রাষ্ট্রের দূতরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র প্রদান করেছেন

জার্মানির ফাঙ্কে মিডিয়া গ্রুপকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে স্টলটেনবার্গ বলেছেন, বেশিরভাগ যুদ্ধ প্রথম শুরু হওয়ার সময় থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় ধরে চলে। আমাদের অবশ্যই ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এতে করে গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউরোপে যুদ্ধ ফিরে আসে।

কিয়েভ গত বছরের জুনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। দক্ষিণ এবং পূর্বের বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়ান বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করে। পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেনের অর্জন এখন পর্যন্ত খুবই সীমিত।

আরও পড়ুন -  T20 World Cup: বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পৌঁছেছে সিডনিতে

স্টলটেনবার্গ বলেন, আমরা সবাই দ্রুত শান্তি কামনা করছি। একই সময়ে আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, যদি প্রেসিডেন্ট (ভলোদিমির) জেলেনস্কি ও ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধ করা বন্ধ করে দেয়, তবে তাদের দেশ (ইউক্রেন) আর থাকবে না।

যদি প্রেসিডেন্ট পুতিন ও রাশিয়া তাদের অস্ত্র ফেলে দেয়, তাহলে আমরা শান্তি অর্জন করতে পারব।

আরও পড়ুন -  ভারত, বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রবেশ, এক ম্যাচে কী রেকর্ড করলো ভারতীয় ক্রিকেটাররা

সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে ইউক্রেনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে স্টলটেনবার্গ বলেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, ইউক্রেন শেষ পর্যন্ত ন্যাটোতে (সদস্য হিসেবে) থাকবে।

তিনি বলেন, চলতি বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত জোটের শীর্ষ সম্মেলনে কিয়েভ ন্যাটোর কাছাকাছি চলে এসেছে। যখন এই যুদ্ধ শেষ হবে, তখন আমাদের ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার। অন্যথায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

ছবিঃ সংগৃহীত