Chandrayaan-3-SleepMode: চন্দ্রযান-৩, ‘ঘুমিয়ে পড়েছে’ চাঁদের বাড়িতে

Published By: Khabar India Online | Published On:

প্রায় ১১ দিন পার করলো ভারতের প্রথম মুন রোভার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের পর। ১৪ দিনের মিশন হাতে নিয়ে গেলেও সময়ের আগেই চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞানের যাবতীয় কাজকর্ম শেষ করেছে।

সেই জন্য রোভারটিকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠিয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)। শনিবার এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ইসরো।

ইসরো বলেছে, আরেকটি অ্যাসাইনমেন্টের জন্য সফলভাবে রোভারটিকে জাগানো যাবে বলে তারা আশা করা হচ্ছে। রোভারটিকে জাগাতে না পারলে সেটি চিরকালের জন্য ভারতের দূত হিসেবে চাঁদে রয়ে যাবে বলে জানায় ইসরো।

আরও পড়ুন -  U-19 World Cup: ইতিহাস ভারতের, অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে

ইসরো জানিয়েছে, রোভার প্রজ্ঞানকে ‘ঘুম’ পাড়িয়ে দেয়া হলেও রোভারটির ব্যাটারিতে পুরো চার্জ রয়েছে। পরেরবার যখন চাঁদে সূর্য উঠবে, আবার তখন যাতে সূর্যের আলো পায়, সেজন্য সোলার প্যানেলকে সেভাবেই রাখা হয়েছে। পৃথিবীর রিসিভার বা তথ্য গ্রহণকারী যন্ত্রটিকেও চালু রেখেছেন বিজ্ঞানীরা।

রোভারটিকে ‘ঘুম’ পাড়িয়ে দেয়ার কারণ হিসেবে ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানান, চাঁদে রাত নামছে বলে এঁকে স্লিপ মোডে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। চাঁদে আবার আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সূর্য উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণের পর যে ১১ দিন ‘জেগে’ ছিল রোভারটি। ১১ দিনে ঠাসা কাজ ছিল রোভারের। চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়িয়ে সংগ্রহ করেছে বিভিন্ন তথ্য। শনিবার সকালেই ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের মাটিতে ১০০ মিটারের বেশি পথ অতিক্রম করেছে রোভার প্রজ্ঞান।

আরও পড়ুন -  Durga Puja-2022: লগ্নজিতা পূজোয় আসিফের সঙ্গী

রোভারটি চন্দ্রপৃষ্ঠে হিমায়িত জল খুঁজে পেয়েছে কী না, সে বিষয়ে কিছু এখনো জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, হিমায়িত জল পাওয়া গেলে তা ভবিষ্যৎ মহাকাশ অভিযাত্রীদের সুপেয় জলের সম্ভাব্য উৎস এবং রকেট জ্বালানি তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

এ সপ্তাহের শুরুতে মহাকাশ সংস্থাটি জানায়, রোভার চাঁদের বুকে সালফারের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে,আরও বেশ কিছু উপকরণ চিহ্নিত করেছে। রোভারের লেসার-নির্ভর স্পেকট্রোস্কোপ যন্ত্রটি অ্যালুমিনিয়াম, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, অক্সিজেন এবং সিলিকন খুঁজে পেয়েছে বলে সংস্থাটি জানায়।

আরও পড়ুন -  Vladimir Putin Warning: পুতিনের হুঁশিয়ারি, সুইডেন-ফিনল্যান্ডকে

ভারতের মহাকাশ কার্যক্রম ১৯৬০ থেকে চলছে। এ সময়ে ভারত নিজেদের এবং অন্যান্য দেশের জন্য স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে। ২০১৪ সালে সাফল্যের সঙ্গে মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে একটি স্যাটেলাইট বসিয়েছে। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ভারত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তাদের প্রথম অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সূত্রঃ এনডিটিভি, টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ছবিঃ সংগৃহীত।