ভারত সরকার, মোবাইল ফোনের সিম ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত নতুন নিয়ম চালু করেছে। এই নতুন নিয়ম অনুসারে এখন থেকে বাল্ক সিম দেওয়ার বিধান বাতিল করা হয়েছে। যেসব ডিলার বাল্ক সিম কার্ড বিক্রি করেন, তাদের এখন সিম কার্ড যাচাই করতে হবে। সাইবার জালিয়াতি ও জালিয়াতি কল প্রতিরোধের লক্ষ্যেই সরকার এই রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন।
জালিয়াতি রোধে ব্যবস্থার অংশ হিসাবে টেলিকম মন্ত্রক এই ধরনের ৫২ লক্ষ সংযোগ ইতিমধ্যেই ব্লক করেছে। সাথে সরকার ৬৭ হাজার ডিলারকে কালো তালিকাভুক্ত করেছেন। যাদের মাধ্যমে এসব সংযোগ দেওয়া হয়েছিলো।
মন্ত্রী জানান, বিশ্ব টেলিকম দিবসে তিনি গ্রাহকদের সুবিধার্থে সরকার নতুন সংস্কার চালু করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে সেন্ট্রাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার, নো ইয়োর মোবাইল ও ASTR। আপনিও যদি এখন একটি নতুন সিম কিনতে চান, বা একজন ব্যবসায়ী যিনি সিম কার্ড বিক্রি করেন, তাহলে অবশ্যই সিম কার্ড যাচাই সংক্রান্ত এই নতুন নিয়মগুলি জেনে নিন।
ব্যবসায়ীদের জন্যও যাচাইকরণ আবশ্যকঃ
আইডেন্টিটি যাচাই ছাড়াও, এখন থেকে বায়োমেট্রিক যাচাইকরণও করতে হবে। সাথে রেজিস্ট্রেশনও বাধ্যতামূলক করা হলো। এটি টেলিকম অপারেটরেরই দায়িত্ব হবে। প্রতিটি টেলিকম অপারেটর ব্যবসায়ীদের যাচাইকরণও নিশ্চিত করতে হবে।
নিয়ম না মানলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান করেছে সরকার।
১২ মাস সময় যাচাইয়ের জন্যঃ
এখন সরকার সিম কার্ড বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীদের ১২ মাস সময় দিয়েছে। তারা তাদের যাচাইকরণ ও নিবন্ধন করতে পারে। এই পদক্ষেপের সাহায্যে, সরকার সিস্টেম থেকে প্রতারক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত সাথে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারবে।
জনসংখ্যার তথ্য সংগ্রহ করা হবেঃ
কোনো গ্রাহক যদি একটি পুরানো নম্বর দিয়ে একটি নতুন সিম কার্ড কিনতে চান। তাহলে বেসে প্রিন্ট করা QR কোডটি স্ক্যান করা হবে।যার ভিত্তিতে গ্রাহকের জনসংখ্যাগত ডেটা ডিটেক্ট করা হবে।
বাল্ক সিম কার্ড ইস্যু করা হবে নাঃ
টেলিযোগাযোগ বিভাগ ঘোষণা করেছে যে, বাল্ক সিম কার্ড আর ইস্যু করা হবে না। তার জায়গায় ব্যবসায়িক সংযোগের বিধান আনা হয়েছে। এখানে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, একজন ব্যক্তি একটি আইডিতে ৯টি সিম কার্ড সংযোগ নিতে পারবেন। যদি কোনও ব্যক্তি সিম কার্ড নিষ্ক্রিয় করে দেন, ৯০ দিন পরে একই মোবাইল নম্বরটি নতুন গ্রাহককে দেওয়া হবে।