নেইমার যোগ দেয়ায় আল হিলাল সমর্থকরাই খুশি এমন নয়, পুরো সৌদি আরবের ফুটবলেই খুশির জোয়ার এখন।
কিন্তু সৌদি আরবের জীবনব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরুর দিকে একটু কষ্টই হতে পারে। কারণ ব্রাজিলের সংস্কৃতি অনেক খোলামেলা, নেইমার নিজেও তেমন জীবনধারায় বিশ্বাসী। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, নেইমার সৌদি আরবে গিয়ে কী করতে পারবেন? কী করতে পারবেন না?
নেইমারের পার্টিপ্রীতি কারও অজানা নয়। বার্সেলোনা বা পিএসজিতে থাকতে অনেক পার্টি আয়োজন করে নন্দিত হওয়ার সাথে নিন্দিতও হয়েছিলেন নেইমার। সৌদি আরবে পার্টির আয়োজন করা তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
কারণ, দেশটিতে মদ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, সেখানে মদ উৎপাদন, বিতরণ এবং পান করা নিষিদ্ধ। গ্লোবো জানিয়েছে, অমুসলিমদের জন্যও সেখানে মদ্যপান নিষিদ্ধ ও অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় নিজের কাছে রাখা এবং ব্যবহার করাও অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় সৌদি আরবে। এ নিয়ম দেশটিতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের জন্যও একই।
সৌদি আরব লোহিত সাগর এবং পারস্য উপসাগর তীরবর্তী দেশ। দৃষ্টিনন্দন সৈকত রয়েছে। নেইমারের ভক্তমাত্রই জানেন, সৈকত তার ভীষণ প্রিয়। ছুটি পেলেই ব্রাজিলে ফিরে সমুদ্রসৈকতে প্রেমিকা ব্রুনা বিয়ানকার্দিকে নিয়ে সময় কাটান।
কিছুদিন আগে সৈকতে অন্তঃসত্ত্বা ব্রুনার বেবি বাম্পের ছবিও প্রকাশ করেছিল।
গ্লোবো নেইমারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, সৌদি আরবে এমন কিছু করতে হলে সবার আগে নেইমারকে সৈকতে ব্যক্তিগত জায়গা নিয়ে রাখতে হবে। ব্যক্তিগত সৈকত লাগবে নেইমারের। সৌদি আরবে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত সৈকতে এমন কিছু করা নিষিদ্ধ। টাকার বিনিময়ে সৈকতে ব্যক্তিগত জায়গা নিয়ে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা যায়। সেখানে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ দেখা হয় না, নারীরা চাইলে বিকিনি পরতে পারেন ও নিরাপত্তারক্ষীরা সেখানে নারী-পুরুষ একসঙ্গে মেলামেশা করলে বিবাহিত কি না, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন না।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সৌদি আরব নারীদের কিছুটা স্বাধীনতা দিলেও সেখানে তাদের জীবন এখনোও সহজ নয়।
ছবিঃ সংগৃহীত।