ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার পতাকাবাহী একটি ট্যাংকারে। হামলায় ট্যাঙ্কারটির ইঞ্জিনরুম ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হয়নি। শনিবার রুশ কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিট্রিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
রাশিয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কৃষ্ণসাগরের কার্চ প্রণালীতে রুশ ট্যাঙ্কার জাহাজ ‘সিগ’-এ সামুদ্রিক ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। জাহাজটির ইঞ্জিনরুমের ক্ষতি হলেও এতে থাকা ১১ ক্রুর কেউ হতাহত হয়নি।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার শিকার নৌযানটি রাশিয়ার সিগ তেলবাহী ট্যাংকার। নৌ-ড্রোন ব্যবহার করে এটিতে হামলা চালানো হয়েছে।
হামলার শিকার ট্যাংকার জাহাজটি ক্রিমিয়া সেতু থেকে দক্ষিণ দিকে ১৭ মাইল দূরে ছিলো। এই ড্রোন হামলার বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য নেই।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরে রুশ নৌঁ ঘাটিতে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরের নভোরোসিয়েস্কের কাছে ঘাঁটিতে ইউক্রেনীয় সেনারা ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে মস্কো।
দেশটির রপ্তানির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র বলে পরিচিত বন্দরটিতে হামলার ঘটনায় সাময়িকভাবে জাহাজ চলাচল স্থগিত করে রাশিয়া।
কৃষ্ণসাগরের শস্যচুক্তি পুনরুদ্ধারে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব নেতারা। জাতিসংঘের ছত্রছায়ায় কৃষ্ণসাগর চুক্তি আবার চালুর লক্ষ্যে কূটনৈতিক উদ্যোগ শুরু করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। পশ্চিমারা শর্ত পূরণে রাজি থাকলে রাশিয়া চুক্তিতে ফিরবে বলে জানায়।
মস্কোকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, কৃষ্ণসাগরের শস্যচুক্তি করলে মস্কোর অবাধে খাদ্য রফতানি কার্যক্রমের নিশ্চয়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, রাশিয়া শস্যচুক্তিতে ফিরলে তাদের খাদ্য এবং খাদ্যপণ্য অবাধে ও নিরাপদে রফতানি করতে পারবে।শস্য চুক্তিতে ফিরে গেলে খাদ্য রপ্তানি রক্ষার যে প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, তাতে মোটেও বিশ্বাস করছে না ক্রেমলিন।