প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নৌবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঞ্চেত্তিকে নির্বাচিত করেছেন। নিশ্চিত হলে, তিনি হবেন নৌবাহিনীর ইতিহাসে প্রথম মহিলা, যিনি এই চাকরিতে থাকবেন ও জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফের প্রথম মহিলা হবেন।
ফ্রাঞ্চেত্তি এখন নৌ অপারেশনের ভাইস চিফ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৫ সালে কমিশন লাভ করেন। ইউএস নেভাল ফোর্সেস কোরিয়ার কমান্ডার, ওয়ারফাইটিং ডেভেলপমেন্টের জন্য নেভাল অপারেশনের ডেপুটি চিফ ও জয়েন্ট স্টাফের কৌশল, পরিকল্পনা ও নীতির পরিচালক হিসাবে কাজের অভিজ্ঞতা আছে, তার অফিসিয়াল জীবনী অনুসারে। তিনি দুটি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভাইস সিএনও হয়েছেন।
সিনেট থেকে সময়মতো লিসার মনোনয়নের অনুমোদন পাওয়া যাবে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ বাইডেনের বিরোধী দল রিপাবলিকানের এক আইনপ্রণেতা প্রায় ২০০ উচ্চপদস্থ সামরিক মনোনয়ন আটকে রয়েছে।
যেসব মার্কিন সেনা গর্ভপাত করাতে চান তাদের সহায়তা করার ঘোষণা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন। তাদের এ সিদ্ধান্তের কারণে ২০০ মনোনয়ন আটকে রেখেছেন তিনি।
লিসা ফ্রানচেত্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ফ্রানচেত্তি একজন কমিশন্ড অফিসার ও সঙ্গে নৌবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে আমাদের দেশের সেবায় ২৮ বছরে পা দেবেন।
তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় নারী যিনি চার স্টার অ্যাডমিরালের মর্যাদা অর্জন করেছেন। যদি মনোনয়ন নিশ্চিত হয় তাহলে তিনি আবারও প্রথম নারী নৌবাহিনী প্রধান সাথে জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ হিসেবে ইতিহাস গড়তে চলেছেন।
সূত্রঃ সিএনএন। ছবিঃ সংগৃহীত