গ্রীষ্ম বা শীত অথবা বর্ষা, বাঙালির ভাতের থালায় মাছ থাকবে। বছরের অন্য সময় রুই, কাতলা বা চিংড়ি থাকলেও বর্ষায় বাঙালির মন পড়ে থাকে ইলিশের মাছের দিকে।
ইলিশের বিকল্প কিছুতেই নেই।এটা প্রায় মোটামুটি সকলে জানেন। তাই বর্ষার বৃষ্টি মাটিতে পরলে,তখনই বাজারে ইলিশের খোঁজ শুরু হতে থাকে। দাম যতই হোক, ইলিশ কেনার সময় বাঙালি টাকার কথা তখন ভাবেন না।
কিন্তু চলতি বছরে বর্ষায় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে বাংলায়। কিন্তু জুনের শুরুতে বৃষ্টি হলেও আবার জুনের শেষদিক থেকে গরমের তীব্রতা ছিলো। গত সপ্তাহে অবধি বৃষ্টির আকাল গোটও দক্ষিণবঙ্গে। একই অবস্থা বাংলাদেশে। এবার বঙ্গোপসাগরে জোড়া সাইক্লোনিক সার্কুলেশনের জেরে মেঘ জমতে শুরু করেছে আকাশে। বৃষ্টিও শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ জায়গায়।
শুরুতে তেমনভাবে ইলিশ না মিললেও বিগত কয়েকদিনে সমুদ্র থেকে ট্রলার বোঝাই করে ইলিশ এনেছেন মৎস্যজীবীরা। ডায়মন্ডহারবার থেকে কাকদ্বীপে বেড়েছে ইলিশের যোগান। বাজারে ইলিশের দেখা মিললেও এই রুপোলি ফসলের দাম রয়েছে ঊর্ধ্বমুখী।
কলকাতার বাজারে ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬৫০ টাকা প্রতি কেজি।৮০০-৯০০ গ্রাম ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকা। ১ কেজির উপরে বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম রয়েছে প্রতি কেজিতে ১১০০-১২০০ টাকা কেজি দরে।
এই বছর দাম কি কমবে না? এই প্রশ্ন চলছে বাঙালির ঘরে ঘরে। ইলিশ প্রিয় বাঙালির জন্য এটাই স্বস্তির খবর যে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। তখন সমুদ্রের পাশাপাশি নদীতেও মিলবে ইলিশ। সেই কারণে তখন ইলিশের দামে ঘাটতি লক্ষ্য করা যাবে বলেই অনুমান করছেন বহু জন।