খুব শীঘ্রই বুলেট ট্রেন চলতে শুরু করবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ভারত সরকার। মুম্বাই থেকে আমেদাবাদ এর মধ্যে প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
NHSRCL সম্প্রতি একটি টেন্ডার তৈরি করেছে। ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ২৪টি E5 সিরিজের সিকানশান ট্রেন সেট কিনতে চলেছে এই সংস্থা। ভারত সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে আমেদাবাদ থেকে মুম্বাই করিডোরে প্রথম বুলেট ট্রেন চালানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলেছে। সেই জন্য নতুন ট্রেন কেনা নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে এই সংস্থা।
এই সংস্থাটি টেন্ডার প্রস্তাবের আমন্ত্রণপত্র জারি করেছে। ইচ্ছুক কোম্পানিগুলিকে অক্টোবরের শেষের দিকে তাদের দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য আবেদন করে দিয়েছে। প্রতিটি ট্রেন সেটে দশটি কোচ থাকবে যাতে ৬৯০ জন যাত্রী বসতে পারবেন বলে জানা গেছে। এবং প্রচন্ড গরম আবহাওয়া ভারতীয় পরিস্থিতি অনুযায়ী ট্রেন সেটে সামান্য পরিবর্তন হবে। ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে এই ট্রেন সেট কেনার জন্য টেন্ডার তৈরি হয়েছে। সিকানশান হাই স্পিড ট্রেনের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তির নামানুসারে এই ট্রেনের নামকরণ করা হয়েছে। মূলত জাপানি কোম্পানিগুলিকেই সুযোগ দেওয়া হবে বলে খবর।
কয়েকটি জাপানি কোম্পানি হিটাচি রেল ও কাওয়াসাকি হেভি ইন্ডাস্ট্রি এই ধরনের বিশেষ ট্রেন তৈরি করে থাকে।এই ট্রেনের দাম সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করা না হলেও, অতি শীঘ্রই মুম্বাই থেকে আমেদাবাদের মধ্যে এই বুলেট ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা বোঝাই যাচ্ছে।
গুজরাটে এক মাসে তিনটি নদীর উপরে সেতু তৈরি করা হয়েছে। ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল করিডোর আধিকারিকরা বলছেন চব্বিশটি সেতুর মধ্যে চারটি গত ছয় মাসের মধ্যে নির্মিত হয়েছে। দেশের এই উচ্চভিলাসি বুলেট ট্রেন প্রকল্পের সম্পূর্ণ খরচ হতে চলেছে ১.১৬ লক্ষ কোটি টাকা। এই খরচ আরও বাড়তেও পারে। আশা করা হচ্ছে ২০২৬ সালের মধ্যে বুলেট ট্রেন দক্ষিণ গুজরাটের সুরাট ও বিলিমোরার মধ্যে চালু হয়ে যেতে পারে।
প্রতীকী ছবি