বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে কি প্রতিক্রিয়া রূপসার, স্বামী স্নেহাশিসের বিরুদ্ধে

Published By: Khabar India Online | Published On:

এবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ‘ব্লুজ’-এর কর্ণধার স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehashish Chakraborty)। এতদিন ধরে অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের একটি বড় অংশ তাঁর নমনীয় স্বভাব এবং নতুন প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়ার প্রশংসা করে এসেছেন। এবার ‘ব্লুজ’ প্রযোজিত ধারাবাহিক ‘মুকুট’ থেকে শ্রীপর্ণা রায় (Sriparna Roy), যুধাজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (Judhajit Banerjee)-র সরে যাওয়া তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

যুধাজিৎ শুধুমাত্র ‘মুকুট’ থেকেই নয়, সরে গিয়েছেন প্রযোজনা সংস্থার আরও একটি ধারাবাহিক ‘নায়িকা নম্বর ওয়ান’ থেকেও। শ্রীপর্ণা যদিও কোনো তিক্ততার কথা উল্লেখ করেননি, যুধাজিৎ তাঁর ফেসবুক পোস্টে স্নেহাশিসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়েছেন। কিন্তু ‘মুকুট’-এর নায়িকা শ্রাবণী ভুঁইয়া (Srabani Bhunia)-র বক্তব্য হল মন্দির-সমান প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত করতে চাইছেন যুধাজিৎ। স্নেহাশিসের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্টুডিওপাড়ার বহু নায়িকা। বিতর্কের মধ্যেই পালিত হয়েছে প্রযোজকের জন্মদিন।

আরও পড়ুন -  Covid-19: কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য

এই বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খুললেন স্নেহাশিসের অর্ধাঙ্গিনী রূপসা চক্রবর্তী (Rupsha Chakraborty)।

রূপসাও পেশায় অভিনেত্রী। এখন ‘ব্লুজ’-এর ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’-তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন রূপসা। তিনি বললেন, এই বিষয় নিয়ে স্টুডিওপাড়ায় বিতর্ক তৈরি হলেও তিনি বা স্নেহাশিস কোনো মন্তব্য করতে চান না। যাঁদের যা মনে হচ্ছে, তাঁরা তা বলতে পারেন। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। অনেকে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। রূপসা বা স্নেহাশিস এই বিষয়ে মুখ খোলার পক্ষপাতী নন।

আরও পড়ুন -  VIDEO: অশ্লীল নাচ করলেন নর্তকী প্রেমা নিয়ন্ত্রণের বাইরে, হটনেস দেখে অবাক দর্শকরা

যুধাজিৎ-এর মতে, যাঁরা স্নেহাশিসের তৈরি ধারাবাহিকে কাজ করেন, তাঁরা প্রায় সকলেই প্রযোজকের তাঁবেদারি করেন। তাঁর কথার প্রতিবাদ করেছেন অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের অধিকাংশ।

এই প্রসঙ্গে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। ত্বরিতা (Twarita) জানিয়েছিলেন, বহু বছর ধরে তাঁরা ‘ব্লুজ’-এর সাথে কাজ করেছেন। এই ধরনের ঘটনা মেনে নিতে রাজি নন তাঁরা। তবে ঘটনা যখন সাংবাদিক সম্মেলন অবধি এগিয়েছে, তখন স্নেহাশিসের উচিৎ মুখ খোলা। কারণ তিনি এবং যুধাজিৎ দুজনেই ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়রদের মধ্যে অন্যতম। দুই পক্ষের বক্তব্য না শোনা অবধি কোনো সিদ্ধান্তে আসা উচিত হবে না।