রাজ্য যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির নজরে। নোটিশ পাওয়ার পরেই জানা যাচ্ছে, তিনি বাড়ি থেকে একেবারে বেপাত্তা। কোথায় গেছেন, কি করছেন, কিছুই এখনো জানা যাচ্ছে না।
ফোনেও কোনো উত্তর মিলছে না বলেই ইডি সূত্রে খবর। গল্ফগ্রিন এলাকার নিউ বিক্রমগড়ের বাড়িতেও সকাল থেকে তার দেখা নেই। আগামী শুক্রবার ৩০ জুন তাকে তলব করা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। সেই নোটিশ ইতিমধ্যেই সায়নী ঘোষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেই নোটিশ পাওয়ার পর হঠাৎ করে তিনি উধাও হয়ে গেলেন। ফলে পুরো বিষয়টা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই কুন্তল ঘোষের সম্প্রতি বিষয়ে উঠে এসেছে সায়নী ঘোষের নাম। কুন্তলের একাধিক চ্যাটে সায়নী ঘোষের নাম পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ই ডি। সূত্রের খবর, বুধবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সারাদিন সায়নী আর বাড়ি ফেরেননি। রাতেও আর বাড়িতে আসেননি তিনি। তিনি এখন কোথায়?
ইতিমধ্যেই সায়নী ঘোষের বাড়ির রক্ষণাবেক্ষক। লাল্টুকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ম্যাডাম নেই; সকালে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছেন। কোথায় গেছেন সেটাও কিছু বলেননি, কখন আসবেন কেউ জানে না।” তাহলে কি তদন্তের হাত থেকে বাঁচতেই উধাও হয়ে গেলেন সায়নী ঘোষ? প্রসঙ্গত সায়নীর বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেই ফ্ল্যাটের টাকা এল কোথা থেকে? কুন্তলের সঙ্গে তা কিভাবে যোগাযোগ হলো? তার এই সমস্ত আয়ের উৎস কি? কিভাবে তিনি এই ফ্ল্যাট কিনলেন? এই সমস্ত বিষয় নিয়েই তদন্তকারীরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন বলে খবর।
শুক্রবার তলব করা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। যদিও সায়নীর কাছ থেকে এই বিষয়ে এখনো কোনো রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তিনি আসবেন নাকি হাজিরা এড়াবেন সেই দিকে আপাতত সকলের নজর রয়েছে। প্রসঙ্গত সায়নী ঘোষ একদিকে যেমন তৃণমূল নেত্রী, অন্যদিকে তিনি একজন অভিনেত্রীও। টিভি সিরিয়াল থেকে শুরু করে সিনেমা, সব পর্দাতেই তার অবাধ বিচরণ। সম্প্রতি, অপরাজিত ছবিতেও তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তার ভূমিকা কি? সেই বিষয় নিয়েই তাকে প্রশ্ন করতে চাইছে ইডি। যদিও দিনভর ফ্ল্যাটের সামনে অপেক্ষা করলেও দেখা মেলেনি তার।