অবশেষে প্রবেশ করেছে বৃষ্টি বাংলার বুকে। আগেই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে মৌসুমী বায়ু। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করার পর উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী কিছুদিনের মধ্যে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় ভারী থেকে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
উত্তরবঙ্গে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার সকালে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। আদ্রতা জনিত অস্বস্তি থাকবে দক্ষিণবঙ্গে, একুশে জুনের পর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে আর কয়েকদিন। পুরুলিয়াতে কিছুটা হলেও কমেছে তাপমাত্রা। সোমবার থেকে হালকা মেঘলা আকাশ দেখা যাচ্ছে পুরুলিয়া জেলায়। সেখানে আদ্রতা জনিত অস্বস্তি এখনো বজায় আছে।
মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৩৯° সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে।
তাপমাত্রা পুরোপুরি কমবে না দক্ষিণবঙ্গে কিন্তু পুরুলিয়া জেলাতে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা এখনই তৈরি হয়নি। অন্যান্য জেলায় বৃষ্টি হবার ফলে কিছুটা হলেও তাপমাত্রা কমলেও পুরুলিয়ায়। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর দিয়েছে হাওয়া অফিস। দেরিতে হলেও প্রবেশ করেছে বর্ষা এর ফলে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি প্রবল বর্ষণে স্বস্তি পেয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে মানুষেরা শীঘ্রই স্বস্তি পাবেন বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
প্রতীকী ছবি