ভয়াবহ সংঘর্ষ তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে, সুদানের সেনা এবং আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে। শনিবার ভোর থেকেই রাজধানী খার্তুমে বিমান হামলা, বিমান-বিধ্বংসী অস্ত্র এবং কামানের শব্দ শোনা গেছে। শহরের বেশ কিছু এলাকার আকাশে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
রয়টার্স জানায়, শুক্রবার ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি বর্ধিত করার ঘোষণা দেয়া সত্ত্বেও লড়াই অব্যাহত ছিল। খার্তুম এবং পার্শ্ববর্তী শহর বাহরি ও ওমডুরমান বিমান, ট্যাঙ্ক ও আর্টিলারি হামলায় কেঁপে উঠে।
সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছেন অসংখ্য মানুষ। এই সংঘর্ষ পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে ২ দশকের পুরোনো সংঘাতকে জাগিয়ে তুলেছে।
রাজধানী খার্তুমসহ আশপাশের এলাকায় আরএসএফ বাহিনীর ওপর জেট এবং ড্রোন দ্বারা হামলা অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী। শহরের বাসিন্দারা খাদ্য, জ্বালানি, জল এবং বিদ্যুৎ সংকট পরিস্থিতিতে পড়েছেন।
জাতিসংঘের মতে, সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫১২ জন নিহত ও প্রায় ৪ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। সংঘর্ষের প্রথম সপ্তাহেই ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানায় জাতিসংঘ। খার্তুমের মাত্র ১৬ শতাংশ হাসপাতালে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।
বিদেশি শক্তির মধ্যস্থতায় সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি আগামীকাল রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার কথা।
আরএসএফের অভিযোগ, ওমডুরমান এবং মাউন্ট আউলিয়া শহরে তাদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে সেনাবাহিনী বলছে, আরএসএফ সীমা লঙ্ঘন করেছে।
ছবিঃ সংগৃহীত