২৫ বছরের কারাদণ্ড পুতিনের সমালোচককে, রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে

Published By: Khabar India Online | Published On:

ভ্লাদিমির কারা-মুর্জাকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মস্কোর একটি আদালত। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রুশ বিরোধী অবস্থানের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিকে দেয়া সর্বোচ্চ শাস্তি।

সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪১ বছর বয়সী কারা-মুর্জা রাশিয়া ও ব্রিটেন, উভয় দেশের পাসপোর্টধারী। তিনি একজন রাজনীতিবিদ, যিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিরোধী অবস্থানের জন্য আলোচিত।

আরও পড়ুন -  New Zealand: নিউজিল্যান্ডে ভূমিকম্পের আঘাত, ঘূর্ণিঝড়ের পরে

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য তিনি পশ্চিমা সরকারগুলোকে উৎসাহ দিয়েছেন।

আদালতে রায়ে দণ্ডিত হওয়ার পর কারা-মুর্জা বলছেন, “রাশিয়া স্বাধীন হবে”।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা যারা তাকে ২৫ বছরের জন্য কারাগারে পাঠানোর অনুরোধ করেছিলেন, তারা তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে অসম্মান করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।

ইউক্রেনে “বিশেষ রুশ সামরিক অভিযান” শুরুর পর থেকেই তিনি ক্রেমলিনের সমালোচনা করে আসছিলেন।

আরও পড়ুন -  President Vladimir Putin: প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনার জন্য প্রস্তুতঃ ক্রেমলিন

ন্যাটোর বিষয়ে অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করেন এ অভিযুক্ত।

রাশিয়ার আইন বলছে, ইউক্রেন আক্রমণের পরে রুশ সেনাবাহিনীকে “অসম্মানিত” করার জন্য কোনো অভিযুক্তের পাঁচ বছরের ও ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য ছাড়ানোর জন্য আরও ১৫ বছরের জেল হতে পারে।

এরইমধ্যে ভ্লাদিমির কারা-মুর্জাকে মুক্তি দিতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান।

আরও পড়ুন -  ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভ

মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলছেন, কাউকে তাদের মানবাধিকার প্রয়োগের জন্য তাদের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়, আমি রাশিয়ান কর্তৃপক্ষকে বিলম্ব না করে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ এ রায়ের নিন্দা জানানোর পাশপাশি কারা-মুর্জার মুক্তির দাবি তুলেছে।

ছবিঃ রয়টার্স