ক্লাব সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা, লিওনেল মেসিকে বার্সেলোনায় ফেরাতে মরিয়া। কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে তিনি যোগাযোগ রেখে চলেছেন মেসির বাবা জর্জ মেসির সঙ্গে। এদিকে সম্প্রতি স্পেনের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, পুরনো ক্লাবে ফিরতে কঠিন শর্ত দিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
আগামী জুন মাসে ফরাসি ক্লাব পিএসজির সাথে চুক্তি শেষ হবে মেসির। তাকে রাখতে আগ্রহী ফ্রান্সের ক্লাবটি। বার্সেলোনাও চায় ঘরের ছেলেকে ফিরে পেতে। ২০২৪ সালে বার্সার ১২৫ বছর পূর্তি। ক্লাবের বিশেষ এই মৌসুমে মেসিকে আবার বার্সেলোনার জার্সি পরাতে চান লাপোর্তা। কদিন আগেই বার্সা সভাপতি জানান, ১২৫ বছরের অনুষ্ঠানে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেয়ার পরিকল্পনা আছে।
সমস্যা একটাই, বাজারদর অনুযায়ী মেসিকে টাকা দিতে পারবে না বার্সেলোনা। ক্লাবের আর্থিক অবস্থা তত ভাল নয়। মেসিকে আনতে দলের দুই ফুটবলারকে বিক্রি করে দেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন লাপোর্তা। তাতেও অর্থ সংস্থানের সম্ভাবনা কম।
বার্সেলোনার প্রতি আলাদা আবেগ রয়েছে মেসির। ফুটবলার লিওকে গড়েপিটে তৈরি করেছে স্পেনের এই ক্লাব। ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা বার্সেলোনার হয়েই খেলেছেন। পেশাদার ফুটবলার কি ন্যূনতম টাকায় খেলতে রাজি হবেন? এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন। স্পেনের গণমাধ্যম এ নিয়ে জানায়, কম টাকায় বার্সেলোনায় ফিরতে আপত্তি নেই মেসির।
কিন্তু রয়েছে একটি কঠিন শর্ত। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে আয়ের একটা বড় অংশ দিতে হবে তাকে। মেসি প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। স্পানিশ গণমাধ্যম জানায়, বার্সেলোনা সভাপতির নাছোড় মনোভাবের কথা বাবার কাছে শুনেছেন মেসি। তার পর বাবার মাধ্যমে তিনি নাকি বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষকে এই বার্তা পাঠিয়েছেন। মেসির শর্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি এখনও।
বার্সেলোনার তৎকালীন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় ২০২১ সালে ক্লাব ছেড়েছিলেন মেসি। শেষ দিনের সাংবাদিক সম্মেলন আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। প্রকাশ্যেই শিশুর মতো কেঁদে ফেলেছিলেন বিচ্ছেদের যন্ত্রণায়। তখন পিএসজিতে যোগ দেন। কখনও পুরনো ক্লাব নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্ডেজ তার প্রাক্তন সতীর্থ। ঘনিষ্ঠ বন্ধুও। তিনি একাধিক বার জানিয়েছেন, মেসির জন্য তার দরজা সব সময় খোলা।
ফাইল ছবি