স্কুলে পড়ুয়া মেয়েদের বিষপ্রয়োগের ঘটনায় সন্দেহভাজন শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইরানে। রবিবার বিট্রিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তেহরানসহ বেশ কয়েকটি শহরে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া তদন্ত চলছে। গ্যাস প্রয়োগের ঘটনার মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক সৃষ্টি করা। যাতে তারা স্কুলে যেতে না চায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, এই ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন, দুষ্টুমি বা মেয়েদের স্কুলে যাওয়া ঠেকাতে এবং স্কুলগুলো বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছে।
আগে বিষপ্রয়োগের ঘটনাকে ‘অমার্জনীয় অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ইরানের কোম শহরের একটি স্কুলে প্রথম বিষ প্রয়োগের ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ৩০ নভেম্বর। ওইদিন কোম নগরীর দ্য নূর টেকনিক্যাল স্কুলের ১৮ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকে আরও ১০টির বেশি গার্লস স্কুলে একই ধরনের ঘটনা হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে পশ্চিমাঞ্চলের লরেস্তান প্রদেশের বরুজার্ড শহরের চারটি স্কুলের অন্তত ১৯৪ ছাত্রীকে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগ করা হয়। একই সময় রাজধানী তেহরানের কাছেই পার্দিসের খাইয়াম গার্লস স্কুলের ৩৭ জন ছাত্রী বিষপ্রয়োগের শিকার হয়েছিলেন।
সূত্রঃ বিবিসি। ছবিঃ সংগৃহীত