আগামী বছর রাশিয়ার কোষাগারের অর্থ শেষ হতে পারে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজন হবে। বৃহস্পতিবার সাইবেরিয়ায় এক অর্থনৈতিক সম্মেলনে এ কথা বলেন রুশ ধনকুবের ওলেগ ডেরিপাস্কা।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার অর্থনীতির অবস্থার প্রশংসা করেছেন। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর ওপর সিরিজ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও রাশিয়ার অর্থনীতি স্থিতিশীল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাশিয়ার সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত বছরে অর্থনীতি ২ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর অর্থনীতিবিদদের অনেকের ধারণা ছিল, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জেরে আরও বড় ধাক্কা খাবে রুশ অর্থনীতি।
বর্তমান রাশিয়ার অর্থনীতির ফাটলগুলো আরও বড় হচ্ছে। চলতি মাসেই জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমাচ্ছে। এ ছাড়া সামনের দিনগুলোয় পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বলতে গেলে, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে রাশিয়ার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অর্থের জোগান কমিয়ে আনতে এরই মধ্যে দেশটির ওপর ১১ হাজার ৩০০এর বেশি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমারা। এ ছাড়া প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক রিজার্ভ জব্দ করা হয়েছে।
এই পরিস্থিততে বিদেশি বিনিয়োগকারী, বিশেষ করে মিত্র দেশগুলো বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করেন ধনকুবের ওলেগ ডেরিপাস্কা। তিনি বলেন, এ দেশগুলো রাশিয়ায় বিনিয়োগ করবে কি না, তা নির্ভর করবে মস্কো উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে এবং নিজের বাজারগুলো আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবে কি না, তার ওপর নির্ভর করবে।
সূত্রঃ ডেইলী মেইল, সিএনএন। ছবিঃ সংগৃহীত