মেয়েরা সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের স্বভাব, পছন্দ এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বিভিন্ন উদাহরণে প্রকাশ পাওয়া যায়। তবে জীবনসাথী পছন্দ করার সময় মেয়েদের কিছু বিশেষ সতর্কতা দেখে নেওয়া উচিত।
সম্প্রতি মেয়েদের বেশিরভাগ স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র হতে পছন্দ করে। সেই স্বাধীনতার মানে হল জীবনসাথী হওয়ার আগে তাদের কর্তব্যপরিপূর্ণ জীবনটি স্বপ্নের মতো সাজিয়ে রাখা এবং সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হওয়া। তাদের পাশে থাকার ক্ষমতা এবং সামর্থ্য হল সম্পূর্ণ প্রয়োজনীয়।
একটি বিষয় হল সম্পূর্ণ প্রকৃতির সাথে তাদের প্রকৃতির মিল। যদি মেয়েটি সামান্য ও শান্ত হয় তবে তাকে একজন উদ্যোগী জীবনসাথী দরকার হবে যে তার পাশে থাকে এবং তাকে সমর্থন করে।
আরও একটি বিষয় হল সম্প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বে প্রচলিত টেকনোলজির ব্যবহার। জীবনসাথী পছন্দ করার সময় মেয়েদের স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং সাইবার প্রযুক্তি এর ব্যবহার নিয়ে বিশেষ করে ভালোভাবে ভিন্নভাবে পর্যালোচনা করা উচিত। মেয়েদের সামনে উপস্থিত সাইবার ঝামেলা সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
একটি সম্পূর্ণ উপস্থিত জীবনসাথী সম্পর্কে বিবেচনা করতে হলে তার পরিবেশের পরিস্থিতি এবং তার স্বভাব দুটো উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে হলে জীবনসাথী হবার পর কোথায় বাস করবে এবং তার সম্পদ অবস্থা কি তা জানা দরকার। আর স্বভাব নিয়ে আলোচনা করতে হলে জীবনসাথী হওয়ার আগে তার স্বপ্ন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলা উচিত।
সম্পর্কের বিভিন্ন দিক
জীবনসাথী পছন্দ করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সাম্প্রতিক সমাজে নারীদের অধিকার এবং সম্মান। একজন নারীকে উচিত সম্মান দেওয়া উচিত এবং সেই নারীর মন্তব্য ও সম্পদের সম্পর্কে প্রতিনিধিত্ব করা উচিত। জীবনসাথী পছন্দ করার জন্য নারীদের এই সম্মান এবং অধিকার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ হল।
অন্য একটি বিষয় হল দৈনন্দিন জীবনের পরিচর্যা এবং ব্যস্ত জীবনধারা। একজন জীবনসাথী চাইলে একটি স্বাস্থ্যকর এবং সম্প্রচারিত জীবনধারা অনুসরণ করে থাকতে পারে। প্রতিদিনের জীবনের পরিচর্যা করা প্রচুর সময় ব্যয় করতে পারে এবং সেটি জীবনসাথীর সময় না দেওয়া হলে সমস্যা উঠতে পারে।
শেষ করার আগে একটি বিষয় স্পষ্ট করা উচিত। যে কেউ জীবনসাথী নিয়ে একটি সম্মানপূর্ণ সম্পর্ক পালন করতে চাইবে। একজন জীবনসাথীর সাথে একটি পরিবার পরিচালনা করতে হবে এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য সময় নিয়ে থাকতে হবে। জীবনসাথীর সাথে পরস্পরের সম্পর্ক পরিচালনা করতে হবে এবং প্রতিটি সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে হবে।
আমাদের সমাজে আজকে জীবনসাথী পছন্দ করার পরিবর্তে লাভের জন্য পার্টনার চয়ন করা হচ্ছে। একজন পার্টনার নির্বাচনের জন্য যে ক্রমানুসারে পরিকল্পনা করা উচিত সেগুলো হলো:
১। সাম্প্রতিক জীবনধারা এবং সম্পদের স্তর।
২। পছন্দসই দেখতে কেমন হবে তা নির্ভর করে চয়ন করা।
৩। পার্টনারের স্বভাব এবং মূল্য সিদ্ধান্ত।
৪। পার্টনারের সাথে সেই সমস্যা সমাধান করতে কতটা প্রস্তত।
৫। পার্টনারের পরিবার সম্পর্কে জানা।
৬। বাড়িতে কাজে কোন ধরনের সাহায্য প্রয়োজন।
৭। পার্টনারের সাথে সময় বিনিময় করতে পারবেন কিনা।
এছাড়াও, আপনার নিজের সমস্যাগুলি যেমন ধরন এবং ব্যক্তিগত পছন্দসই সম্পর্কে আলোচনা করা উচিত। আপনি যদি আপনার পার্টনার সম্পর্কে কোন কোন জিনিস জানতে চান, তবে সেটি জানতে কেউ ব্যবহার করা যেতে পারে যেমন প্রশ্নোত্তর বা আলোচনা করা।
প্রতীকী ছবি