ভারতের বুকে প্রধান গণপরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয় ভারতীয় রেলকে। মধ্যবিত্তরা সাধ্যের মধ্যে খরচ করে ভারতীয় রেলে ভ্রমণ করেন। রেলের নেটওয়ার্ক দেশের বুকে এতটাই সুগঠিত যে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মানুষ পৌঁছে যায়। কিছু যাত্রার ক্ষেত্রে সময় লেগে যায় ২ থেকে ৩ দিন। এর মাঝে ট্রেনের যাত্রীদের খাবারের জন্য থাকে আইআরসিটিসি প্যান্ট্রি কার সার্ভিস। সাধ্যের মধ্যে খরচ করেই দুবেলার খাবার পাওয়া যায় এই প্যান্ট্রি কার থেকে।
সম্প্রতি খাবারের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছে IRCTC। কোন খাবারের দাম কত বাড়ল দেখুন।
জানিয়ে রাখি, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং এন্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন বা IRCTC ট্রেনের মধ্যে প্রায় ৭০ টি খাবার পরিবেশন করে। সকালের ব্রেকফাস্ট, দুপুরের লাঞ্চ, বিকেলের স্ন্যাকস ও রাতের ডিনার সব পাওয়া যায় এই আইআরসিটিসির প্যান্ট্রি কার সার্ভিসে।
প্রত্যেকটি খাবারের নির্দিষ্ট রেট নির্ধারণ করে দিয়েছে ভারতীয় রেল। এবার সেই খাবারের দাম ৫ টাকা থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তে চলেছে। এই প্রসঙ্গে পাটনা আইআরসিটিসি যুগ্ম কো-অর্ডিনেটর রাজেশ কুমার জানিয়েছেন যে, যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ও যাত্রীদের চাহিদার নিরিখে আইআরসিটিসি খাবারের দামে সামান্য বৃদ্ধি করছে। দাম বৃদ্ধির পরে খাবারের গুণগত মান ও পরিমাণ আরো ভালো হবে।
তথ্য অনুযায়ী, স্যান্ডউইচ এর দাম ১৫ টাকা থেকে ২৫ টাকা হয়ে গেছে। পাউরুটি পকোড়ার দাম ১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫ টাকা করা হয়েছে। বার্গার পাওয়া যাবে ৫০ টাকায়, প্রতি পনির পকোড়ার দাম হবে ২৫ টাকা, ১০০ গ্রাম ধোকলা পাওয়া যাবে ৩০ টাকায়। প্যান্ট্রি কার থেকে থালি নেওয়ার পর অতিরিক্ত রুটি নিলে তার জন্য বর্ধিত নাম দিতে হবে। এতদিন অব্দি অতিরিক্ত ২ টি রুটি নিতে ৬ টাকা দিতে হত। এখন থেকে তার জন্য খরচ করতে হবে ১৪ টাকা। উল্লেখ্য, প্যান্ট্রি কার সার্ভিসে খাবারের দাম বাড়লেও জন আহার কেন্দ্র, প্ল্যাটফর্ম ফুড স্টলে খাবারের দাম বাড়েনি। দাম বাড়েনি রেলনির পানীয় জলের বোতলের। দাম বাড়ছে শুধুমাত্র ট্রেনের প্যান্ট্রি কার সার্ভিসের।