আলোচনার মাধ্যমে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে শেষ হতে পারে, কারণ যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো পক্ষই তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন মার্কিন জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলি।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফিনান্সিয়াল টাইমসের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
সাক্ষাতকারে মিলি বলেন, রাশিয়ানদের পক্ষে সামরিক উপায়ে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যগুলো অর্জন করা প্রায় অসম্ভব হবে। রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে নেবে, এমন চিন্তা অবাস্তব। অপরদিকে মস্কোর বাহিনী ইতিমধ্যে যে অঞ্চলটি দখল করেছে সেখান থেকে তাদের তাড়ানো ইউক্রেনের পক্ষে খুব কঠিন হবে। তার এই অবস্থানের জন্য নির্দিষ্ট কোন কারণ ব্যাখ্যা প্রদান করেনি।
সপ্তাহের শুরুতে ব্রাসেলসে ইউক্রেনের জন্য আরও সামরিক সহায়তার বিষয়ে ন্যাটো মিত্রদের সাথে বৈঠকের পরই এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় এই সামরিক কর্মকর্তা। তিনি আগামী মাসগুলোতে বসন্তে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ জোরদার করার লক্ষ্যে ইউক্রেনের শক্তি বাড়াতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যদের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে সমন্বয় আনার ওপর জোর দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে বলেন, আমরা যে হারে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছি, কিয়েভ যুদ্ধক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশি অস্ত্রের ব্যবহার করছে।
জেনারেল মিলি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে যুদ্ধাস্ত্রের বহুল ব্যবহার পেন্টাগনকে তার অস্ত্রের মজুত পর্যালোচনা করতে ও ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে চিন্তা করতে বাধ্য করেছে। যেখানে আমরা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি যাতে আমরা তখন অনুমান করতে পারি যে আমরা সত্যিকারের প্রয়োজনীয়তা কী হবে বলে মনে করি, তারপরে আমাদের এটি বাজেটে রাখতে হবে। কারণ গোলাবারুদ খুবই ব্যয়বহুল।
ব্রাসেলসে যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মিলি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রাশিয়া ইতিমধ্যে কৌশলগতভাবে, কর্মক্ষমভাবে ও কৌশলগতভাবে হেরেছে। যুদ্ধক্ষেত্রে একটি বিশাল মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে তাদের।
এদিকে নিজস্ব মজুতের অস্ত্র ইউক্রেনকে সহায়তা হিসেবে দেয়ার জন্য বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন ফ্লোরিডার প্রতিনিধি ম্যাট গেটজ এবং অ্যারিজোনার অ্যান্ডি বিগস সহ মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অনেকেই।
সূত্রঃ আরটি। ছবিঃ সংগৃহীত