এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে শতশত মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে তুরস্কেই মারা গেছেন ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ। সিরিয়ায় সংখ্যাটি পাঁচ হাজারের বেশি। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছেন।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কমপক্ষে ৩০ হাজার উদ্ধারকারীরা। ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে প্রাণের সাড়া পেলেই ছুটছেন সদলবলে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হতাশ হতে হচ্ছে তাদের। ভূমিকম্পের ৮ দিন পেরিয়ে যাওয়ায় জীবিত মানুষের জন্য আলাদাভাবে তল্লাশি অভিযান বন্ধ করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। অলৌকিকভাবে বৃহস্পতিবার ৩ জনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, শুধু তুরস্ক নয় বরং গোটা মানব ইতিহাসে এটি ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলেও বর্তমানে গোটা আন্তর্জাতিক মহল পাশে দাঁড়িয়েছে।
শক্তিশালী জোড়া ভূমিকম্পের পর উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য সব দেশের প্রতি কৃতজ্ঞা জানিয়ে এরদোয়ান বলেন, এই অন্ধকার দিনে যারা বন্ধুত্ব দেখিয়েছেন তুরস্ক কখনই ভুলবে না।
তিনি বলেন, আমি আবারও ধন্যবাদ জানাতে চাই সমস্ত বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোকে যারা আমাদের জাতির জন্য দিনরাত সাহায্য সংগ্রহ করছে। তাদের দলগুলোর সাথে আমাদের অনুসন্ধান এবং উদ্ধার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে, তাদের প্রার্থনায় আমাদের ভুলে যায়নি।
সিরিয়ায় এখনও বহু মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। ঠিকভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না উদ্ধারকাজও। ৪০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনের তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ। দুইটি দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুই কোটি ৬০ লাখ মানুষের জন্য প্রয়োজন জরুরি সহায়তা।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আটটি প্রদেশ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় লুটতরাজসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে ব্যাংক নোট, গহনা, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ও বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্রঃ আলজাজিরা, রয়টার্স। ছবিঃ সংগৃহীত