ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনও লাশ বের করছে উদ্ধারকারীরা। খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৩৬ হাজারে ছাড়িয়েছে।
সোমবার তুরস্কের জরুরি সমন্বয় কেন্দ্র সাকোম-এর কথা অনুযায়ী, আলজাজিরা জানিয়েছে, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৪৩ জনে পৌঁছে গেছে। অপরদিকে সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭৪ জনে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে নিহত হয়েছে ৩ হাজার ১৬০ জন। সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪১৪ জনের।
সপ্তম দিনের উদ্ধার অভিযানেও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে প্রাণের সন্ধান মিলছে। উদ্ধারকারীরা বলছেন, যত সময় গড়াচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে। ভূমিকম্পের ১৪৭ ঘণ্টা পরেও ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ১০ বছর বয়সী এক মেয়েকে উদ্ধার করেছে তুরস্কের উদ্ধারকারী দল।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে একদিকে যেমন মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে, তার মধ্যে আবার লুটপাট শুরু হয়েছে। ভূমিকম্পের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে লুটপাটকারীরা বাড়িঘর ও শপিংমলের দরজা জানালা ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন। লুটপাটের ঘটনায় গোলাগুলিও হয়েছে। রবিবার লুটেরাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আটটি প্রদেশ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় লুটতরাজসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ লুটপাটে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনতে সহায়তা করবে।
জার্মান উদ্ধারকারী দল ও অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনী স্থানীয় সময় শনিবার অনুসন্ধান অভিযান স্থগিত করেছে বলে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করা গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করা হয়। যদিও সংঘর্ষের কারণ জানাননি উদ্ধারকারীরা।
তুরস্ক থেকে আরও তিনটি উদ্ধারকারী দল বিবিসিকে বলেছে, দক্ষিণ তুরস্কে লুটপাট এবং সংঘর্ষের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। জার্মানি থেকে আসা উদ্ধারকারী দল এবং অস্ট্রিয়ার সেনাবাহিনী গত শনিবার তাদের উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেছে। তারা বলেছে, এখানে স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
ছবিঃ সংগৃহীত