Local Train Cancel: এই লাইনে বন্ধ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত, লোকাল ট্রেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

বর্ধমান শাখায় বিভিন্ন লোকাল ট্রেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত  বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন হাওড়া ডিআরএম মনিশ জৈন।

আগেই ট্রেন বাতিল ও বন্ধের খবর জানানো হয়েছিল বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বর্ধমান স্টেশনের পাশের পুরনো রেল ওভার ব্রিজ ভেঙে ফেলার কারণে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বর্ধমান থেকে একাধিক শাখায় ট্রেন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। হাওড়ার ডিআরএম মনিশ জৈন বলছেন, পুরানো সেতু ভেঙে ফেলার কারণেই এই মুহূর্তে ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত।

তিনি জানিয়েছেন, ১৯০১ সালের সেতু ভেঙে ফেলতে হলো আমাদের। নতুন কেবল ব্রিজ ২০১৯ সালে চালু হয়। পুরনো ব্রিজের উপর দিয়ে টোটো ও সাইকেল যাচ্ছিল। তাতে আমাদের বিপদ বাড়ছিল। নতুন কিছু দূরপাল্লার রেক ও কয়লা বহনকারী রেকের মাথা পুরনো ব্রিজের নিচে একেবারে ঠেকে যাচ্ছিল বলা চলে। সেই কারণেই নিরাপত্তার স্বার্থে এই ব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন -  Local Train: জেনে নিন হাওড়া ডিভিশনে ট্রেনের নতুন সময়সূচি, ৮ দিনের বিরাট বদল

যদি ব্রিজ ভেঙে দেওয়া হয় তাহলে প্লাটফর্ম ও ট্রাকের পরিধি বাড়বে। নূন্যতম যেটুকু না করলেই নয় বাধ্য হয়ে ততটুকু ট্রেন বাতিল করছি। আজ বুধবার মধ্যরাতের পর সমস্ত পুরনো গার্ড একে একে ক্রেন দিয়ে তুলে ফেলা হবে। তারপরে শুরু হবে ভাঙার কাজ।

আরও পড়ুন -  Indian Railways: ভারতের বিখ্যাত ট্রেনগুলি, সমুদ্রের মাঝখান দিয়েই যায়, ভ্রমণ করেছেন?

ব্রিজ ভাঙার কাজ চলায় প্রতিদিন বর্ধমান থেকে রেল চলাচল ব্যাঘাত ঘটতে শুরু করেছে। ব্রিজের পাশে একটি আধুনিক ফ্লাইওভার তৈরি হওয়ার কারণে ওই পুরনো ব্রিজ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ওভার ব্রিজ প্রায় ১০০ বছরের পুরনো হওয়ার কারণে অনেকদিন আগেই ভারী যান চলাচলের অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল এই ব্রিজটিকে। বিকল্প ব্রিজ নিয়ে অনেক টানাপোড়েন চলে।

রেল আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, আগামী ৯ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধমান হাওড়া মেন লাইন কর্ড লাইন ও কাটোয়া লাইনের লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কয়টি ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এর কারণে যাত্রীদের একটু অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে কিছুদিন।

আরও পড়ুন -  Post Office Saving Scheme: ১০০০ টাকা জমিয়ে পান ৩৪ লাখ টাকা রিটার্ন, পোস্ট অফিসের এই স্কিমে, বিস্তারে জেনে নিন

নিত্যযাত্রীরা বলছেন, লকডাউনের কারণে দুবছর ট্রেন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়েছিল। ট্রেন চালু হবার প্রায় এক বছর ধরে থার্ড লাইন ও ইন্টারলকিং এর কাজ হওয়ার কারণে দফায় দফায় ব্লক ও বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। মেইন ও পরে কর্ড লাইনে ভোগান্তি হয়েছে যাত্রীদের।