সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে সোমবার ভোরে কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়া। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। ৯ ঘন্টার ব্যবধানে আরেকটি ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে তুরস্কে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) অনুসারে সোমবার দুপুরে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে আরেকটি ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দ্বিতীয় ভূমিকম্পে হতাহতের বিশদ বিবরণ এখনও আসেনি। দ্বিতীয় অগভীর ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় ১:২৪ মিনিটে আঘাত হানে।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের একিনোজু শহরের ৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে তুরস্কের সাতটি প্রদেশের অন্তত দশটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরগুলো, গাজিয়ান্তেপ, কাহরামানমারাস, হাতে, ওসমানিয়া, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির ও কিলিস। সাতটি প্রদেশে এখনো পর্যন্ত ৯১২ জন নিহত ও ৩ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই। আশঙ্কা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই চাপা পড়েছেন।
সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কথা অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা ও লাকাতিয়া শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূমিকম্পে। তিনটি শহরে এখনো পর্যন্ত অন্তত ৩৩৯ জন নিহত, ২হাজারের বেশি আহত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা আরও ২২১ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইউএসজিএস-এর দেয়া তথ্যানুসারে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে প্রথম দফায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানার ১১ মিনিট পর আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্কের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের একটি এলাকায়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যেই অন্তত ২০ বার আফটার শক অনুভূত হয়েছে তুরস্ক, সিরিয়া এবং তার আশেপাশের এলাকায়।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাস থেকেও এই ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভূত হয়েছে। মিসরের রাজধানী কায়রোতেও এর তীব্রতা জের পাওয়া গেছে।
সূত্রঃ এএফপি। ছবিঃ সংগৃহীত