একপ্রকার উদবাস্তুর মতোই দিন কাটাচ্ছেন ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। তাকে ফ্লোরিডার একটি কেএফসিতে বসে সাধারণ মানুষের মতই ফ্রায়েড চিকেন খেতে দেখা গেছে। দেখে বোঝার উপায় নেই কয়েকদিন আগেই তিনি বিশ্বের বৃহত্তম দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষের দিকে বামপন্থী লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার ব্রাজিলে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব নেয়ার কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান বোলসোনারো। সেখানে হাসপাতালে তার ভর্তি হওয়ার কথাও জানা গিয়েছিল। তিনি ব্রাজিল ছেড়ে যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে তার সমর্থনকারীরা রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় সরকারি দপ্তর, প্রেসিডেন্টের ভবন, সুপ্রিম কোর্টে ঢুকে পড়েন ও ব্যপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি বোলসোনারোর সমর্থকরা। লুলাকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে উৎখাত করতেই এই বিক্ষোভ তারা করেছিলেন বলে জানা যায় সেই সময়। এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় নিজের কাঁধ থেকে ঝেরে ফেলেছিলেন তিনি।
সাম্প্রতিক নির্বাচনের পরই প্রেসিডেন্ট প্যালেস হাতছাড়া হয়েছে। বিলাসবহুল ঠিকানা বদলে বর্তমান আস্থানা ফ্লোরিডার একটি ছোট্ট শহরে ডিসনি ওয়ার্ল্ড রিসর্টের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রে এসে বসবাস শুরু করার পর প্রথম ছয় সপ্তাহ খুব সাধারণ জীবনযাপনই ছিল তার। সেখানে প্রাক্তন মার্শাল আর্টস চ্যাম্পিয়ন জোস আলডোর ওরল্যান্ডোর বাড়িতেই ছিলেন। স্থানীয় সুপার মার্কেটে যেতেন মাঝে মাঝে, সেখানে কেএফসিতে তাকে ফ্রায়েড চিকেন খেতে দেখা গেছে।
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন ব্রাজিলের প্রাক্তন এই প্রেসিডেন্ট। জানুয়ারির শেষের দিকে ব্রাজিলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বোলসোনারো। গত মঙ্গলবারও ওরলান্ডোর একটি রেস্তোরাঁয় ব্রাজিলের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে আরও ছয় মাস থাকার জন্য নতুন ভিসার জন্য আবেদন করেছেন।
তার ছেলে সিনেটর ফ্লাভিও বোলসোনারো গত সপ্তাহে বলেছিলেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর ফেরার কোনও তারিখ নিধারণ করা হয়নি।
সূত্রঃ এএফপি, এনডিটিভি