Kiev: ইউক্রেন জুড়ে বিমান হামলার সর্তকতা জারি, ইইউ শীর্ষ সম্মেলন শুরু কিয়েভে

Published By: Khabar India Online | Published On:

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা একটি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য রাজধানীতে জড়ো হওয়ার সাথে সাথে কিয়েভ ও ইউক্রেন জুড়ে বিমান হামলার সতর্কতা শোনা গেছে।

এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার কিয়েভে বসছে ইইউ-ইউক্রেন শীর্ষ সম্মেলন ৷ তবে কী হবে, বৈঠক শেষ হওয়ার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারই ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা কিয়েভে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবারই ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চার্লস মিশেল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে করেছেন ৷ ইইউ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও ইউক্রেনের শীর্ষ সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

আরও পড়ুন -  Zelensky: ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান সম্ভব, কূটনীতি’র মাধ্যমেইঃ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

বৃহস্পতিবারের আলোচনার পর জেলেনস্কি বলেন, শক্তিশালী ইউক্রেন এবং শক্তিশালী ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিলে, আরও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত জীবনযাত্রা অর্জন করা সম্ভব৷ এভাবেই বাধা এবং হুমকি সত্ত্বেও মানুষ শক্তি ও প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে৷

জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া নিষেধাজ্ঞার দাবি করছেন ৷ ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার বর্যপূর্তি উপলক্ষ্যে ইইউ নতুন দফার শাস্তিমূলক পদক্ষেপের যে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তা যথেষ্ট জোরালো নয় বলে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন ৷ ২৪শে ফেব্রুয়ারির আগে রাশিয়ার উপর ইইউ দশম দফা নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ অবশ্য চূড়ান্ত হয়নি ৷

আরও পড়ুন -  War: ৬০ থেকে ১০০ সেনা হারাচ্ছে ইউক্রেন প্রতিদিন যুদ্ধে: প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

ইউক্রেনের জন্য মানবিক, আর্থিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক সহায়তা দিয়ে এলেও দ্রুত পূর্ণ সদস্য করার কথা এখনো ভাবতে পারছে না ইইউ ৷ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইইউ আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক বছর সময় লাগবে বলে কিয়েভকে মনে করিয়ে দিয়েছেন ব্রাসেলসের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন -  Trudeau: ‘গণহত্যার’ ব্যাপারে কথা বললেন ট্রুডো, ইউক্রেন

 ইউক্রেনের সরকার দ্রুত সব শর্ত মেনে চলতি বছরের শেষেই আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করতে চান।

উল্লেখ্য, সদস্যপদের কঠিন শর্ত পূরণ করতে একাধিক দেশ অনেক বছর বা দশক ধরে যেখানে অপেক্ষা করে রয়েছে। তবে আবেদনের ঠিক পরেই ইউক্রেনকে প্রার্থী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ইইউ ইতোমধ্যেই প্রথা ভেঙেছে ৷ যেখানে আবেদনের প্রায় এক দশক পর ২০১৩ সালে ইইউ-র সর্বশেষ সদস্য হিসেবে যোগদান করেছিল ক্রোয়েশিয়া। পোল্যান্ডের প্রায় ২০ বছর সময় লেগেছিল।

ছবিঃ সংগৃহীত