Mummy: মমির সন্ধান চার হাজার বছরের পুরনো, কায়রোর কাছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

৪ হাজার ৩শ বছর আগের একটি মমির সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা মিশরের রাজধানী কায়রোর কাছে।    যা রাখা ছিল, স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া কফিনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত মমিগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন এটি।

কায়রোর সাক্কারার দক্ষিণাঞ্চলে এক সমাধিস্থলের ৫০ ফুট নিচে মেলে এর খোঁজ। সেখানে সন্ধান মিলেছে আরও তিনটি মমির।

প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার অন্যতম হলো মমি। মূলত মরদেহকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কাপড় দিয়ে পেচিয়ে সংরক্ষণ করা। অতীতে বিশ্বাস করা হতো,মমিগুলো আবারও দেহে প্রাণ ফিরে পেয়ে যাত্রা শুরু করবে পরকালের উদ্দেশ্যে।

আরও পড়ুন -  Bhojpuri Song: আম্রপালি দুবের হট স্টাইল ভক্তদের উত্তেজিত করেছে, ইন্টারনেটে ভিডিও ভাইরাল

যে ব্যক্তির মমি উদ্ধার হয়েছে, তার নাম হেকাশিপেস। ধারণা করা হচ্ছে, মিসরে এ পর্যন্ত রাজপরিবারের বাইরে যতগুলো মমি পাওয়া গেছে, তার মধ্যে এ মমি সবচেয়ে প্রাচীন ও পরিপূর্ণ। যতগুলো মমি পাওয়া গেছে তার মধ্যে বড় মমিটি খুন-মজেদেফ নামের এক পুরোহিতের।

আরেকটি হলো মেরি নামে এক ব্যক্তির, যিনি ছিলেন রাজপ্রাসাদের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। উপাধি ছিল সিক্রেট কিপার। তিনি বিশেষ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন। আরেকটি পাওয়া মমিটি ফেতেক নামে এক বিচারক ও লেখকের বলে ধারণা করা হয়।

আরও পড়ুন -  মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পরামর্শে এনসিইআরটি-র আট সপ্তাহের বিকল্প শিক্ষা দিনপঞ্জি প্রকাশ করেছেন মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী

মমিটির প্রসঙ্গে মিশরের প্রাক্তন পুরাকীর্তি মন্ত্রী জাহি হাওয়াস বলেন, এটি মিশরে এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে পুরনো। রাজ পরিবারের নন, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে এটি প্রথম সম্পূর্ণ মমি। এসবই খ্রিস্টপূর্ব ২৫ থেকে ২২ শতকের মধ্যকার সময়ের।

পুরাতত্ত্ববিদরা সেখানে আবাসিক ভবন, টাওয়ার, মেটাল ওয়ার্কশপ, পাত্র, যন্ত্রপাতি ও রোমান মুদ্রা পান। পর্যটন শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত কয়েক বছরে মিশরে অনেক পুরাতাত্ত্বিক আবিষ্কার হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Horoscope: ২৪ শে জুলাই, রাশিফল কি বলছে?

সাকারা হলো তিন হাজার বছরের বেশি পুরোনো এক সমাধিস্থল। ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এ সমাধিস্থল।

দেশের পর্যটনশিল্পকে নতুন করে জাগিয়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মিশর।

 সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বড় বড় প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। মিশর সরকারের আশা, এই জাদুঘর ২০২৮ সাল নাগাদ বছরে ৩ কোটি পর্যটক টানবে।

সূত্রঃ বিবিসি। ছবিঃ সংগৃহীত