আটক হয়েছেন খ্যাতিমান সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ জার্মানির কয়লা খনিবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে। মঙ্গলবার জার্মান পুলিশ তাকে আটক করে। পরিচয় যাচাই করার পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জার্মান পুলিশ জানিয়েছে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের লুয়েতজারাত নামের গ্রামটি গত কিছুদিন ধরে খবরের শিরোনামে এসেছে। কয়লাখনি সম্প্রসারণের জন্য জার্মান সরকার গ্রামটিকে বেছে নেওয়ার পর পরিবেশবাদীরা টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছে লুয়েতজারাতের বাসিন্দারা। লিগনাইট ধরনের কয়লা উত্তোলন করা হবে যা সবচেয়ে বেশি পরিবেশ দূষণকারী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় লুয়েতজারাত গ্রাম থেকে প্রায় ৯ কিমি দূরে একটি কয়লা খনিতে প্রতিবাদ করার সময় থুনবার্গকে আটক করা হয়। মূলত খনির প্রান্ত থেকে সরে না গেলে বলপ্রয়োগ করে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে পুলিশ হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই আটক করা হয়।
রয়টার্স বলছে, ওই কয়লা খনি সম্প্রসারণের জন্য জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার গ্রামটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কর্মীরা বলছেন, জার্মানির আর লিগনাইট বা বাদামী কয়লা খনন করা উচিত নয়, পরিবর্তে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সম্প্রসারণের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।
পুলিশের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, গ্রেটা থুনবার্গসহ একদল অ্যাক্টিভিস্ট খনির কিনারার দিকে ছুটে গিয়েছিল। পরে তাকে থামিয়ে দিয়ে গ্রুপের সবার পরিচয় শনাক্তের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ওই এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বিক্ষোভের সময় একজন কর্মী খনিতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
রয়টার্স বলছে, আটকের সময় থুনবার্গকে তিনজন পুলিশ অফিসার ধরে নিয়ে যায়, খনির কিনারা থেকে দূরে একটি জায়গায় এক হাত ধরে তাকে পুলিশ ভ্যানের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
সুইডিশ এই জলবায়ু কর্মী গত শনিবার প্রায় ৬ হাজার বিক্ষোভকারীর উদ্দেশে বলেছিলেন, জার্মানি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম দূষণকারী দেশ, তাদের জবাবদিহি করা দরকার। এই কয়লা খনির সম্প্রসারণকে ‘বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেও অভিহিত করেছিলেন তিনি।
মূলত জলবায়ু সংকট বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় একটি সমস্যা। এই সংকট মোকাবিলায় বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরে পরিণত হওয়া সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ পরিবেশ আন্দোলনের জন্য গড়ে তুলেছেন ‘ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার’ নামের একটি সংগঠন।
ছবিঃ সংগৃহীত