নতুন প্রাণের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই দরকার বাড়তি যত্নের। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মায়ের শরীরের উপর নির্ভর করবে গর্ভস্থ সন্তানের ভাল-মন্দ। তখন থেকে মাকে ভিতর এবং বাইরে থেকে ভাল থাকা উচিৎ।
এই সময় শারীরিক যে কোনও সমস্যা দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। যে অনিয়মগুলি করতেন, সেই অবহেলা শরীরের সঙ্গে করা যাবে না। পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি খাওয়াদাওয়াও করতে হবে নিয়ম মেনে।
হবু সন্তান যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, তার দায়িত্ব আপনারই। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাওয়াদাওয়ায় বদল আনা জরুরি।
যে খাবারগুলি দরকার, মাছ তার মধ্যে অন্যতম। চিকিৎসকরা অন্তঃসত্ত্বাদের রোজের পাতে মাছ রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যে মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। সামুদ্রিক মাছেই সাধারণত ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। মাছ হবু সন্তানের মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে। বুদ্ধির প্রখরতা বাড়াতেও সামুদ্রিক মাছ দারুণ কাজ করে।
শরীরে পুষ্টি জোগাতে ডালের ভূমিকা অনবদ্য। পুষ্টিকর খাবার খুব কম রয়েছে। মুসুর ডাল, অড়হড় ডাল, রাজমার মতো ডালগুলি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশি করে খেতে বলেন চিকিৎসকরা। ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-সমৃদ্ধ ডাল গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক মাসে খাওয়া দরকার।
মটরশুঁটি খেতে ভুলবেন না। এর মতো উপকারী সব্জি খুব কমই রয়েছে। ফলিক অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস মটরশুঁটি। এই অ্যাসিড হবু সন্তানের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ সচল রাখে। স্তন্যদুগ্ধের উৎপাদন বাড়াতেও মটরশুঁটি খুব সাহায্য করে।
ফাইবার, ভিটামিন ই-এর সমৃদ্ধ উৎস হল আখরোট। বাদাম শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। রোগের সঙ্গে লড়তেও সাহায্য করে। শীতকাল মানেই সর্দিকাশি লেগেই রয়েছে। শীতকালীন সংক্রমণ কমাতে অন্তঃসত্ত্বারা ভরসা রাখতে পারেন আখরোটের উপর। আখরোটে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস। শীতকালে অন্তঃসত্ত্বা হলে আখরোট খাবেন।
অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় শরীরে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন পড়ে। গর্ভস্থ শিশুর বেড়ে ওঠায় ক্যালশিয়াম একটি উপকারী উপাদান। দইতে ক্যালসিয়াম ভরপুর মাত্রায় রয়েছে। হবু সন্তানের হাড়ের যত্ন নিতে এই সময় দই খান বেশি করে।
প্রতিকী ছবি।