কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীদপ্তর জেনারেল ম্যানেজমেন্ট অব মাইগ্রেশন জানিয়েছে, শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিনশাসায় বন্যার শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, শহরের আশপাশের এলাকা কাদা জলেতে প্লাবিত হয়েছে। রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এন১ হাইওয়ে রয়েছে যা কিনাশাসাকে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর মাতাদির সাথে সংযুক্ত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাস্তাটি চার দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মন্ট-এনগাফুলা জেলার প্রধান একটি মহাসড়কে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে বেশ কয়েকটি যানবাহন পড়ে গেছে। রেইনকোট পরা লোকজন খালের মধ্যে উঁকি দিয়ে গাড়ি দেখার চেষ্টা করছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিন-জ্যাক এমবুঙ্গানি এমবানদা রয়টার্সকে বলেছেন, তার মন্ত্রণালয়ের গণনায় ১৪১ জনের মৃত্যুর হিসাব পাওয়া গেছে, সংখ্যাটি অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের সঙ্গে ক্রস-চেক করে দেখতে হবে।
কিনশাসার গভর্নরের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও প্রাদেশিক গভর্নর বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
একসময় কঙ্গো নদীর তীরে মাছ ধরার গ্রাম কিনশাসার হিসেবে পরিচিতি থাকলেও শহরটি এখন প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস। জনসংখ্যার আকার বিবেচনায় আফ্রিকার বৃহত্তম মেগাসিটিগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে কিনশাসা।
দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আর দ্রুত নগরায়নের বিকাশ ঘটায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর আকস্মিক বন্যার জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে কিনশাসা।
সূত্রঃ রয়টার্স। ছবিঃ সংগৃহীত