মার্কিন ক্রীড়া সাংবাদিক গ্রান্ট ওয়াহল কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ কভার করতে গিয়ে মৃত্যু হল। শুক্রবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স এলাকা থেকে আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডস কোয়ার্টার ফাইনাল দেখার সময় হঠাৎ পড়ে যান। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এই নিয়ে তিনি, অষ্টম বিশ্বকাপ কভার করছিলেন, একসময় স্পোর্টস ইলাস্ট্রেইটেডে কাজ করতেন, পরে অনলাইন প্রকাশনা প্ল্যাটফর্ম সাবস্ট্যাকে যোগ দেন। শুক্রবার আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের খেলা নিয়ে টুইট করছিলেন তিনি।
ওয়াহলের এজেন্ট টিম স্ক্যানলান রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন যে, ম্যাচটিতে সাংবাদিক অতিরিক্ত সময়ের শুরুতে একধরনের তীব্র যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। প্রেস বক্সেই তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল, স্ট্রেচারে করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর চিকিৎসকরা তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, মাঠেই ওয়াহলকে তাৎক্ষণিক জরুরী চিকিৎসা দেয়া হয়েছিলো। অ্যাম্বুলেন্সে করে হামাদ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা মার্কিন দূতাবাস এবং প্রাসঙ্গিক স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি, যাতে মৃতদেহ প্রক্রিয়াটি পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী হয়।
ইউএস সকার ফেডারেশন শুক্রবার, ওয়ালের স্ত্রী সেলিন গাউন্ডার ও তার প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
ফেডারেশন একটি বিবৃতিতে বলেছে, ওয়াহলের মৃত্যু সত্যিই বেদনাদায়ক। আমাদের খেলা এবং এর প্রধান চরিত্র সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ এবং বিনোদনমূলক গল্পগুলো সরবরাহ করার জন্য আমরা সর্বদা তার ওপর নির্ভর করতাম। দীপ্তিমান লেখাগুলো আর পাবো না অনুভব করে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি আমরা।
গত ২১শে নভেম্বর ওয়েলসের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচে এলজিবিটিকিউ অধিকারের সমর্থনে ওয়াহল একটি রেইনবো টি-শার্ট পরার কারণে কাতারের পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন।
ওয়াহলের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে কাতার সরকারের বিরুদ্ধে। তার ভাই ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেছেন, আমার নাম এরিক ওয়াহল, আমি গ্র্যান্টের ভাই। আমি সমকামী। আমার জন্যই গ্র্যান্ট রংধনু রঙের পোশাক পরেছিল। ও আমাকে জানিয়েছিল, ওকে খুনের হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি না, সে অসুস্থার কারণে মারা গেছে। আমার মনে হয় ওকে খুন করা হয়েছে। আমি তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি।
সূত্রঃ রয়টার্স। ছবিঃ সংগৃহীত।