ভারতকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দিলো টিম টাইগার, মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে। সিরিজ বাঁচাতে প্রয়োজন ভারতের ২৭২ রান।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। সিদ্ধান্তের যথার্থ প্রমাণ করতে পারেননি ব্যাটাররা। দলীয় ১১ রানে সিরাজের বলে সাজঘরে ফেরেন বিজয়। উইকেটে আসেন নাজমুল শান্ত। লিটন দাসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ৩৯ রানে থামে দুই ব্যাটারের জুটি। ২৩ বলে ৭ রান করে সিরাজের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
লিটনের ফেরার উইকেটে আসেন সাকিব আল হাসান। শান্তকে নিয়ে ধীরে ধীরে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিলেও আচমকা খেই হারিয়ে ফেলেন সাকিব। উমরান মালিকের গতির ঝড়ে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েন এই দুই ব্যাটার।
ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার গতির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। সাজঘরে ফেরেন সাকিব, মুশফিক ও আফিফ।
৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন রিয়াদ ও প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের নায়ক মিরাজ। দেখে-শুনে ব্যাট করতে থাকেন এই দুই ক্রিকেটার। তুলে নেন ৫০ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ব্যাটেই খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ৭৭ রানে আউট হলেও মেহেদী অপরাজিত ছিলেন ১০০ রানে।
আগে মিরাজের হাফসেঞ্চুরি পর পর মাহমুদউল্লাহও তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। উমরান মালিকের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৯৬ বলে ৭ চারে মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ৭৭ রানের ইনিংস। নাসুমও কার্যকরী একটি ইনিংস খেলেছেন। ১১ বলে ১৮ রান আসে নাসুমের ব্যাট থেকে। শেষটা এতোই বারুদ ঠাসা ছিলো যে ৫ ওভারে মাহমুদউল্লাহ, নাসুম ও মিরাজ মিলে যোগ করেন ৬৮ রান।
ম্যাচের নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭১ রান। সিরিজ বাঁচাতে সফরকারীদের প্রয়োজন ২৭২ রান।
ভারতের হয়ে ৩৭ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন ওয়াসিংটন সুন্দর। দুটি করে উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিক।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের দেয়া ২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে ভারত।
ছবিঃ সংগৃহীত।