ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থীর একটি দল সারা দেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের প্রস্তুতির আগে খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফের এই তথ্য জানিয়েছে আরব নিউজ।
জাতীয় ছাত্র ইউনিয়ন অভিযোগ করেছে, খারজমি, আরাক বিশ্ববিদ্যালয় ও আরও চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২০০ শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা খাবারে ইচ্ছাকৃতভাবে বিষ প্রয়োগ করেছে প্রশাসন। বিষক্রিয়ার আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের সকলেই শরীরে ব্যথা ও মাথা ঘোরার সমস্যায় ভুগছেন। কারও পেটেও সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিয়ন।
ইরানের প্রশাসন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কর্মকর্তারা এই বিষক্রিয়ার জন্য জল বাহিত ব্যাকটেরিয়াকে দায়ী করেছেন।
এক বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন অভিযোগ করেছে, বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিকগুলো ডিহাইড্রেশন এবং খাদ্য বিষক্রিয়ার অন্যান্য সম্পর্কিত চিকিত্সার বন্ধ করে দেয়। তখন পরিস্কার বোঝা যায় খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনা জাতীয় প্রতিবাদ আন্দোলনকে ব্যর্থ করার একটি ইচ্ছাকৃত কৌশল।
ছাত্র ইউনিয়নের দাবি, বুধবার থেকে তিন দিনের দেশব্যাপী ধর্মঘট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। রুখতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কতৃপক্ষ বলে অভিযোগ ছাত্র ইউনয়নের।
ইরানি কর্তৃপক্ষ এমন খবর অস্বীকার করেছে যে, সরকার দেশটির নৈতিকতা পুলিশকে বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একটি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলেছে, ইরানের কোনো কর্মকর্তা নৈতিকতা পুলিশ বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। কিছু বিদেশী মিডিয়া অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যকে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের হিজাব আইন থেকে প্রত্যাহার, সাম্প্রতিক দাঙ্গা প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।