কমবেশি বাইরে যেতে হয় সকলকে। বাইরে যাওয়া মানেই ধুলাবালি। ছুটির দিনগুলোতে বাড়ি পরিষ্কার করে থাকি। সেখানেও ধুলাবালির মুখোমুখি হতে হয়। তখন শুরু হয় যখন এই ধুলাবালি থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। চোখমুখ লাল হয়ে, হাঁচি-কাশিতে একেবারে কাহিল।
চোখ থেকে অনবরত জল পড়া, ‘ডাস্ট’ অ্যালার্জির অন্যতম লক্ষণ। শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। ত্বকে র্যাশ ও চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দিতে থাকে। যদি এই রোগ থাকে, চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়াই শ্রেয়। সব সময় ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না, সেই সময় কিছু খাবার খেলে আমরা অ্যালার্জিকে খানিকটা প্রতিহত করতে পারি।
গ্রিন টি
প্রতিদিন চা-কফির অভ্যাস কমাতে হবে। দিনে দু-তিন বার গ্রিন টিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে।
দুধ জাতীয় খাবার
টকদই, ছানা এবং লাস্যি খাওয়ার পাতে রাখুন। প্রোবায়োটিক উপাদান অসুখের জীবাণুর সঙ্গে যেমন লড়ে, তেমনই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
হলুদ
হলুদের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে। ধুলোবালিতে অ্যালার্জি থাকলে রোজ নিয়ম করে গরম দুধে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
দারুচিনি
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। রোজের ডায়েটে দারচিনি দেওয়া চা রাখতে পারেন। এতে শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলি দূর হবে আর অ্যালার্জির সমস্যা থেকেও উপকার পাবেন।
বাদাম
ধুলোবালিতে অ্যালার্জি থাকলে রোজ ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে থাকা নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদান অ্যালার্জির সমস্যা দূর করে। কাজু, আখরোট ও কাঠবাদাম খেতে পারেন।
প্রতীকী ছবি।