Stadium 974: এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, স্টেডিয়াম ৯৭৪ ইতিহাস হতে চলেছে!

Published By: Khabar India Online | Published On:

 কাতার বিশ্বকাপে অন্যতম ভেন্যু স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর গল্প ফুরিয়ে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। থেকে যাবে শুধু অজস্র স্মৃতি। মোট ৯৭৪টি কন্টেনার দিয়ে তৈরি হওয়ার জন্যই এই মাঠের নাম স্টেডিয়াম ৯৭৪। আবার ৯৭৪ নম্বরটি কাতারের আন্তর্জাতিক ডায়াল কোড।

আগামী ১৮ ডিসেম্বর কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল। সেই ম্যাচ আয়োজিত হওয়ার পরেই ভেঙে ফেলা হবে স্টেডিয়াম ৯৭৪। খুলে ফেলা হবে কন্টেনারগুলো। সেই কন্টেনারগুলো জাহাজে চড়ে চলে যাবে উন্নয়নশীল কোনো দেশে। সেই সব দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহৃত হবে, স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর এই কন্টেনারগুলো। হ্যাঁ, এটাই সত্যি।

টুইট করে সেটা জানিয়ে দিল ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা এই স্টেডিয়ামের ভিডিও তুলে ধরেছে।

বাকি ১০টা স্টেডিয়ামের চেয়ে আলাদা দোহা শহরের এই স্টেডিয়াম ৯৭৪। বিশ্বের বাকি সব স্টেডিয়ামের সঙ্গে এই স্টেডিয়ামের কোনো মিল নেই। লুসাইল কিংবা আল বায়াত স্টেডিয়ামের মতো নেই স্থাপত্য শিল্পের কারুকার্যের ঝলক। একদিক থেকে এই স্টেডিয়াম ৯৭৪ একেবারে অনন্য। কাতারে অবস্থিত এটি বিশ্বের একমাত্র স্টেডিয়াম, যা নির্মিত হয়েছে কন্টেনার দিয়ে। ৯৭৪টি কন্টেনারকে একটির সঙ্গে একটি জোড়া লাগিয়ে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Best World Cup Goal: বিশ্বকাপের সেরা গোল, রিচার্লিসনের বাইসাইকেল

২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় এই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ। ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার আসন বিশিষ্ট এই স্টেডিয়াম তৈরি করতে লেগেছিল প্রায় তিন বছর। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর এই স্টেডিয়াম জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। কাতার বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে ফিফা আরব কাপের ৬টি ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে সৌদি আরব, কাতার, জর্ডন, সুদানের মতো দেশ এখানে খেলে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন -  RBI-এর সিদ্ধান্ত, একদিনে UPI থেকে কত টাকা লেনদেন করতে পারবেন?

বিশ্বকাপে মোট সাতটি ম্যাচ এই স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে। ২২ নভেম্বর মেক্সিকো বনাম পোল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে এই স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের খেলা শুরু হয়েছিল। হয়েছে আরও ছয়টি ম্যাচ। বিশ্ব ফুটবলের তিন মহাতারকা লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমারের ঝলক দেখিয়েছে স্টেডিয়াম ৯৭৪।

কিলিয়ান এমবাপে ও রবার্ট লেভানদোভস্কি মতো তারকাও এই মাঠে খেলে গিয়েছেন। ৫ ডিসেম্বর ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে এই মাঠের বিশ্বকাপ জার্নি। মনে রাখার সেই ম্যাচে এশিয়ার ‘রেড ড্রাগন’ দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। ক্যারিয়ারে অসংখ্য স্টেডিয়ামে খেললেও স্টেডিয়াম ৯৭৪ তাদের মনে বিশেষ জায়গা নিয়ে থাকবে।

আরও পড়ুন -  Pakistani Cricketer: বিয়ে করবেন ঊর্বশীকেই, পাক্ ক্রিকেটার নাসিম শাহ জানালেন সাংবাদিক বৈঠকে

ইতিহাসে এই মাঠে মেসি, রোনালদো ও নেইমারের গড়া কীর্তির কথা উল্লেখ থাকবে। বুটের ছাপ লাগা এই স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর কোনো অস্তিত্বই থাকবে না। মনে পরলেও এই মাঠে এসে দাঁড়িয়ে স্মৃতির রোমন্থন করতে পারবেন কোনো তারকা। এই স্টেডিয়াম একটু বেশিই মনে থাকবে ম্যাক অ্যালিস্টার, ভিনিসিউস জুনিয়রদের কাছে। কারণ এই দুই তরুণই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম গোল পেয়েছেন এই মাঠে। ব্রাজিলের জন্য স্মৃতি গড়া ভেন্যু হিসেবেই লেখা থাকবে স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর নাম। দুই ম্যাচ খেলে যে দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে লাতিন পরাশক্তি ব্রাজিল। এটিই প্রথম সম্পূর্ণরূপে অপসারণযোগ্য ভেন্যু ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে।

ছবিঃ ইন্টারনেট।