উত্তরাখণ্ডে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে সামরিক মহড়া চালায় চলতি সপ্তাহে। তাতেই আপত্তি জানায় চীন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে যে চুক্তি হয়েছিল, এই সামরিক মহড়ার কারণে তা লঙ্ঘন করা হয়েছে দাবি করে চীন।
চীনের এই দাবিকে অন্যায্য বলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দিয়ে বলা হল, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রর যৌথ সামরিক মহড়া চীনের নাক গলানোর বিষয় নয়।
শুক্রবার ভারত নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, আগামীতেও ভারতের আঞ্চলিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থন করবে ওয়াশিংটন। সম্প্রতিই জি-২০ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রর সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই তিনি জানান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত এলিজাবেথ জোনস বলেন, আমি আমার ভারতের প্রতিপক্ষদের বলতে চাই যে আমাদের দুই দেশের সামরিক মহড়ায় তাদের নাক গলানোর দরকার নেই।
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যকেও সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, বিগত ৭ বছরে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়ে ১৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আলাদাভাবে আর ভারত-যুক্তরাষ্ট্রর মধ্যে বাণিজ্যচুক্তির কোনও প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য়, চলতি সপ্তাহেই উত্তরাখণ্ডের আউলিতে যৌথ সামরিক মহড়া চালায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। ইন্দো-চীন সীমান্ত থেতে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে এই সামরিক মহড়া ভারত-চীনের সীমান্ত চুক্তিকে লঙ্ঘন করেছে বলেই দাবি করে চীন।
জবাবে বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারত নিজের ইচ্ছা মতো যেকোনও দেশের সঙ্গে সামরিক মহড়া চালাতে পারে। এই বিষয়ে ভারত তৃতীয় কোনও দেশকে মন্তব্য করার অধিকার দেয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, এই যৌথ সামরিক মহড়ার সঙ্গে ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালের চীনের সঙ্গে হওয়া চুক্তির কোনও সম্পর্ক নেই। চীন নিজে যে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, তা মনে রাখা উচিত।
সূত্রঃ এনডিটিভি। ছবিঃ সংগৃহীত।