কাতার বিশ্বকাপে নতুন উৎপাতের নাম ভিআর (VAR)। ভিআর প্রযুক্তির কাছে ফুটবলার থেকে দর্শক সবাই অতিষ্ঠ। বাতিল হচ্ছে একের পর এক গোল। দেওয়া হচ্ছে পেনাল্টি। এই বারের বিশ্বকাপ ‘ভিআর আক্রান্ত’।
৪৮টি ম্যাচে ভিআরের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়েছে মোট ১৭টি গোল। ওপেন প্লে থেকে ৯টি গোল বাতিল হয়েছে।
ফুটবলার গোল দেওয়ার পরে ফাউলের কারণে সেই গোল বাতিল করেছেন রেফারি। ৮টি গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডের কারণে। সবটাই হয়েছে ভিআরের সাহায্যে। ভিআর প্রযুক্তির দায়িত্বে থাকা রেফারি মাঠের রেফারিকে পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শ মেনে গোল বাতিল করেছেন ম্যাচ রেফারি।
ভিআরের সাহায্যে চলতি বিশ্বকাপে ৮টি পেনাল্টি দিয়েছেন রেফারিরা। অবশ্য ৫টি পেনাল্টি মিস্ করেছেন ফুটবলাররা।
ভিআরের সাহায্যে পেনাল্টি বাতিলও হয়েছে। বেলজিয়ামের বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার জন্য পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। পরে ভিআরের সাহায্যে সেই পেনাল্টি বাতিল করেন রেফারি। ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলারকে ফাউল করার আগে তাদেরই এক ফুটবলার অফসাইডে ছিলেন।
ভিআরের সাহায্যে গোলও হয়েছে এই বারের বিশ্বকাপে। ২টি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করেছিলেন লাইন্সম্যান। পরে ভিআরে সেই সিদ্ধান্ত বদলে যায়।
ভিআরের জন্য বিশ্বকাপে লাল কার্ড দেখতে হয় ওয়েলসের গোলরক্ষক ওয়েন হেনসিকে। ইরানের বিপক্ষে হেনসি ফাউল করেন। বক্সের বাইরে ইরানের মেহদি তারেমিকে ফাউল করেন তিনি। প্রথমে রেফারি হলুদ কার্ড দেখান। ভিআরের সাহায্য নিয়ে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
ছবিঃ ইন্টারনেট।