প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন ৯৬ বছর বয়সে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
দীর্ঘ দিন ধরেই লিউকেমিয়া ও একাধিক শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
সরকারী সিনহুয়া সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সাংহাই শহরের নিজ বাড়িতে বুধবার দুপুর মারা যান জিয়াং।
ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি, সংসদ, মন্ত্রিপরিষদ এবং সামরিক বাহিনী মৃত্যুর ঘোষণা করে চীনা জনগণের কাছে একটি চিঠি প্রকাশ করেছে । চিঠিতে বলা হয়েছে, কমরেড জিয়াং জেমিনের মৃত্যু আমাদের পার্টি এবং আমাদের সেনাবাহিনী এবং আমাদের সমস্ত জাতিগোষ্ঠীর জনগণের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি জানিয়েছে, জিয়াংয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ব্যবস্থা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে, বুধবার থেকে জিয়াংয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তারিখ পর্যন্তচীন এবং বিশ্বব্যাপী প্রধান চীনা কমিউনিস্ট পার্টি এবং সরকারী ভবনগুলিতে পতাকা অর্ধনমিত করা হবে। এখনও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
১৯৮৯ সালে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের উপর রক্তাক্ত তিয়ান আনমেনের ক্র্যাকডাউনের পরে জিয়াংকে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি ও প্রেসিডেন্টের নেতৃত্ব দেয়া হয়েছিল। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চীনের রাষ্ট্রপ্রধান এবং কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারপার্সন ছিলেন।
অনেক পর্যবেক্ষক জিয়াং-এর রাজত্বকে ব্যাপক দুর্নীতির বীজ বপনের সময় বলেও বর্ণনা করেন। অনেকের ধারণা, তিনি রাজনৈতিক সংস্কারের পরিবর্তে একদলীয় শাসনের উপর জোর দিয়েছেন।
২০০২ সালের শেষের দিকে, জিয়াং তার উত্তরসূরি হু জিনতাওকে প্রথমে পার্টির চেয়ারম্যান এবং পরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে খেতাব হস্তান্তর করেন। কিন্তু তিনি ২০০৫ সাল পর্যন্ত চীনের সামরিক প্রধান পদে ছিলেন।
আনুষ্ঠানিক অবসর গ্রহণের পরেও, চীনের বর্তমান নেতা শি জিনপিংয়ের নির্বাচন সহ পর্দার আড়ালে থেকে রাজনৈতিক প্রভাব অব্যাহত রেখেছিলেন জিয়াং।
জিয়াং এরপর ধীরে ধীরে জনসম্মখে আসা বন্ধ করে দেন। শেষবার বেইজিংয়ের তিয়ানানমেন গেটে ২০১৯ সালের সামরিক কুচকাওয়াজে পার্টির ক্ষমতায় ৭০ তম বার্ষিকী উদযাপনে প্রকাশ্যে উপস্থিত হয়েছিল।
সূত্রঃ আল জাজিরা, সিএনএন। ফাইল ছবি।