Protest: লুসাইল স্টেডিয়ামে ঢুকে প্রতিবাদ, ‘ইউক্রেন বাঁচাও, ইরানি নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা’, কাতার বিশ্বকাপ

Published By: Khabar India Online | Published On:

পর্তুগাল বনাম উরুগুয়ে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা চলছিল কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে।  আচমকাই মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েন এক আন্দোলনকারী। পরনে ছিল নীল রঙের সুপারম্যান টি-শার্ট। বুকে সাদা হরফে লেখা ‘সেভ ইউক্রেন (SAVE UKRAINE)’, পিঠে লেখা ‘ইরানের নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা (RESPECT FOR IRANIAN WOMAN)’। তার হাতে ছিল রংধনু পতাকা।

রোনালদোর পর্তুগালের ম্যাচ ৩০ সেকেন্ডের মতো বন্ধ ছিল। সেই প্রতিবাদী মাঠে চক্কর দিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ম্যাচ চলাকালীন উরুগুয়ের গোলপোস্টের দিক থেকে রংধনু পতাকা হাতে মাঠের অপর প্রান্তের উদ্দেশে দৌড়াতে থাকেন একজন সমর্থক।

আরও পড়ুন -  Soumitrisha Kundu: প্রথম প্রেম কেন ভেঙেছিল? সৌমিতৃষার

মাঝমাঠের কাছেই তাকে ধরতে যান এক নিরাপত্তারক্ষী। তার নাগাল পাননি। কিছুটা দৌড়ে হাত থেকে পতাকা ফেলে দেন ওই সমর্থক। অপরপ্রান্ত থেকে একজন এসে ওই সমর্থককে ধরে মাঠে ফেলে দেন। তিনজন মিলে ওই সমর্থককে মাঠের বাইরে বের করে নিয়ে যান। মাঠে পড়ে থাকা রংধনু পতাকা সাইডলাইনের বাইরে রেখে দেন রেফারি।

 তিনটি ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে ফের খবরের শিরোনামে আন্দোলনকারী মারিও ফেরি। মারিওর রংধুন পতাকা কথা বলল সমকামীদের সমর্থনে। কাতারে সমকামী নিষিদ্ধ। তারই প্রতিবাদে মারিও আনলেন রংধনু পতাকা। রাশিয়ার আগ্রাসনে ধুঁকতে থাকা ইউক্রেনের সমর্থন করলেন তিনি। পাশাপাশি মারিও ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলনেও শামিল হলেন।

আরও পড়ুন -  Vande Bharat: আজ থেকে পরিবর্তন হচ্ছে ৪৬ টি ট্রেনের রুট, ভারতীয় রেলের ঘোষণা

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন এই ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য ফিফা ও কাতার টুর্নামেন্ট আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি।

তিনটি ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা নিয়ে মাঠে সমর্থক. ছবিঃ ইন্টারনেট

মারিওর বয়স ৩৫। ডাকনাম ফালকো। পেশায় তিনি ফুটবলার ও ইনফ্লুয়েন্সার। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড। মারিও কিন্তু এমনটা এই প্রথম করলেন না। ফুটবলের মাঠেই তিনি বারবার বিভিন্ন ইস্যুতে জানান প্রতিবাদ।

আরও পড়ুন -  Qatar World Cup: কাতার বিশ্বকাপে পোল্যান্ড, সুইডেনকে হারিয়ে

২০১০ সালে প্রথমবার মারিও খবরে এসেছিলেন। ২০১০ বিশ্বকাপে স্পেন-জার্মানির শেষ চারের ম্যাচেও মাঠে ঢুকে গিয়েছিলেন। সেই বছরই আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ ও এসি মিলান ম্যাচেও এই কান্ড ঘটান।

তিনি ডাক পেয়েছিলেন ইতালিয়ান চ্যাট শো-তেও। সেই বছরই ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে ইন্টারমিলান ও মাজেম্বে ম্যাচেও তিনি মাঠে এসে খেলা ক্ষণিকের জন্য বন্ধ করেছিলেন।

ছবিঃ ইন্টারনেট।