সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে সূচনা করলো ব্রাজিল। লুসাইল স্টেডিয়ামে ২০২২ বিশ্বকাপের, বৃহস্পতিবার রাতে মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল ও সার্বিয়া। আক্রমণভাগে রাফিনিয়া, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও নেইমারকে রেখে স্ট্রাইকিং পজিশনে রিচার্লিশনকে রেখেছেন। রক্ষণে দানিলো মার্কুইনোস, থিয়াগো সিলভা এবং আলেক্স সান্দ্রো। মাঝমাঠ সামলানোর দায়িত্বে লুকাস পাকেতা ও কাসেমিরো।
ব্রাজিলের জার্সিতে আজ মাঠে নেমে রেকর্ডের খাতায় নাম লিখিয়েছেন থিয়াগো সিলভা। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমেই ব্রাজিলের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড গড়েছেন। সার্বিয়া ম্যাচে মাঠে নামার সময় চেলসি সেন্টার-ব্যাকের বয়স ৩৮ বছর।
শুরু থেকে সার্বিয়ার রক্ষণে হানা দেয় ব্রাজিল। চতুর্থ মিনিটে রাফিনিয়া সার্বিয়ার ডিফেন্ডার স্ত্রাহিনিয়া পাভলোভিচকে কাটিয়ে নিচু ক্রস নিয়েছিলেন। কাছের পোস্ট থেকে বল ক্লিয়ার করা হয়। সপ্তম মিনিটে আক্রমণে ওঠে আসা নেইমারকে ঠেকাতে গিয়ে ফাউল করেন পাভলোভিচ। সঙ্গে সঙ্গে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। নবম মিনিটে কাসেমিরোর দারুণ পাসে বক্সের ভেতরে বল পেয়ে যান নেইমার। নিয়ন্ত্রণে নিলেও সার্বিয়ান ডিফেন্ডাররা ঘিরে ধরেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে।
কর্নার কিকে বল গোলমুখে পাঠান নেইমার। সার্বিয়ার গোলরক্ষক ভানিয়া মিলিনকোভিচ-সাভিচ ফের কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান সেই শট। দ্বিতীয় কর্নার কিকে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি মার্কিনিয়োস। আগেই দুই হাতে বল ধরে ফেলেন সার্বিয়ার গোলরক্ষক। ২১তম মিনিটে কাসেমিরো দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন। প্রথম ২৫ মিনিটে বল দখলে টক্কর দিলেও মাত্র একবার ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক আলিসনকে সেভাবে পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারে সার্বিয়া। দূর থেকে বক্সে ঢুকে পড়া মিত্রোভিচকে লক্ষ্য করে ক্রস দেন তাদিচ। ব্রাজিল গোলরক্ষক লাফিয়ে বল গ্লাভসবন্দি করেন।
২৮তম মিনিটে সুযোগ আসে ব্রাজিলের সামনে। সিলভার থ্রো বল বক্সে পেয়ে যায় ভিনিসিয়ুস। রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড শট নেওয়ার আগেই ডাইভ দিয়ে তার পায়ের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন সার্বিয়ার গোলরক্ষক। কিন্তু সার্বিয়ার রক্ষণের জটলায় সফল হতে পারেননি তিনি। বল উড়ে যায় গ্যালারিতে। ৩৫তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও দুর্বল শটে বল তার হাতেই তুলে দেন রাফিনিয়া। ৪১তম মিনিটে সবচেয়ে ভালো সুযোগটা নষ্ট করেন ভিনিসিয়ুস। কাসেমিরোর লং বল খুঁজে নেয় রিয়াল তারকাকে। সেখানে সার্বিয়ার ডিফেন্ডার মিলেনকোভিচ বল দখলে নেন। তবে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের বুকেই মারেন তিনি। বল নেমে পাশেই দৌড়াতে থাকা ভিনিসিয়ুসের পায়ে পৌঁছে যায়। একদম কাছ থেকে তার নেয়া শট পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য।
৬২তম মিনিটে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সাথে সমর্থকদের উল্লাসে মাতান রিচার্লিসন। আক্রমণে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সরাসরি জালের ঠিকানা খুঁজে নেন টটেনহ্যামের তারকা ফুটবলার। ৭১তম মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের অ্যাসিস্ট থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রিচার্লিসন। ছবিঃ সংগৃহীত।