প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে ইরান। দুই দলের শক্তি সামর্থ্য হিসেবে ইরানের থেকে অনেক এগিয়ে ইংল্যান্ড দল। বেশ কিছু তরুণ তারকা খেলোয়াড় রয়েছে ইংল্যান্ড দলে। ১৬তম বারের মতো বিশ্বকাপে খেলছে ইংল্যান্ড। ৫বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে ইরান।
১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের প্রথম ও সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়ের পর কেটে গেছে ৫৬ বছর। কাতার বিশ্বকাপে সমকামী-বিদ্বেষ ও বিদেশি শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে আয়োজক দেশটির সমালোচনায় মুখর দলটির অধিনায়কের ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামার কথা।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু হয়। ঘটনায় উত্তাল হয়ে আছে ইরান। এর প্রতিবাদের মঞ্চ হতে পারে কাতার বিশ্বকাপ। কাতারের সমকামী বিদ্বেষের প্রতিবাদ জানাতে আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে ইংল্যান্ড। ফলে দুই দলের ভিন্নমুখী প্রতিবাদ উত্তাপ তৈরি করে রাখছে। ইংল্যান্ড-ইরান ম্যাচটা নজরে থাকবে সবার।
আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গ্রুপ ‘বি’ ম্যাচ শুরু।
ইরান এশিয়ার অন্যতম সেরা হলেও ইউরোপীয় কোনো দলের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত জয় দেখা মেলেনি। ইউরোপীয়ানদের বিপক্ষে ৮ ম্যাচ খেলে হেরেছে ৬ টি।
দুশ্চিন্তা ও অনুভূতিই আছে ইংল্যান্ডের কোচ সাউথগেটের। ইনজুরি থেকে পুরোপুটি ফিট কাইল ওয়াকার। তবে অনুশীলন মিস করেছেন জেমস ম্যাডিসন।
শুরুর একাদশে সাইড বেঞ্চে থাকতে হতে পারে হ্যারি ম্যাগুয়ের। মধ্যমাঠে ফিল ফোডেন-রাইস-ম্যাসন মাউন্টেই ভরসা। আক্রমণে র্যাশফোর্ড-স্টার্লিংয়ের সঙ্গে থাকবেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ইংল্যান্ড সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সাথে ইউরোর ফাইনালও খেলেছে।
ইংল্যান্ড-ইরান ম্যাচে সবার ফোকাস থাকবে ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইনের দিকে। জাতীয় দলের জার্সিতে ৭৫ ম্যাচে রয়েছে ৫১ গোল। প্রাক্তন ইংলিশ অধিনায়ক ওয়েইন রুনির ৫৩ গোলের রেকর্ড চলতি আসরেই ভেঙে দেওয়াটা খুবই সম্ভব তার জন্য। রাশিয়া বিশ্বকাপেও হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা।
প্রতিপক্ষ কিছুটা কঠিন বলে ডিফেন্স সামলে আক্রমণে যেতে চায় ইরান। আক্রমণ শানাতে চাইবে মেহেদী তারেমি বা সরদার আজমাউনরা। স্কোরের দায়িত্বটা করিম আনসারিফার ওপরই থাকবে। ছবিঃ সংগৃহীত।