টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ- ২০২২, ফাইনালে পাকিস্তানের দেয়া ১৩৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১ ওভার হাতে রেখে জয় পেলেন ইংলিশরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলো ইংল্যান্ড। আগে ২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ইংল্যান্ড জয় লাভ করেছিলো।
টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। ইংলিশ পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে রান তুলতে হিমশিম খেয়েছেন, পাকিস্তানি ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে স্যাম কারানের বলে রিজওয়ান (১৫) বোল্ড হয়ে ফিরলে ভাঙে ২৯ রানের জুটি।
মোহাম্মদ হারিস (৮) ফেরেন দ্রুতই। ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদের বলে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। শান মাসুদের সঙ্গে জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন বাবর আজম। ১২তম ওভারে বোলার রশিদের হাতেই ক্যাচ দিয়ে চলে যান পাকিস্তানি অধিনায়ক। বাবরের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩২ রান।
ইফতিখার আহমেদ শুন্য রানে বিদায় নেন বেন স্টোকসের বলে। হাল ধরেন শান মাসুদ। ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। দলকে ১২০ রানের কোটা পার করিয়ে বিদায় নেন। স্যাম কারানের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ২৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান করেন।
শানের বিদায়ের পর ২ রান যোগ হতেই ফেরেন আরেক সেট ব্যাটার শাদাব খান। ১৪ বলে ২০ রান করা অলরাউন্ডারকে ক্রিস ওকসের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ক্রিস জর্ডান। চাপের মুখে পরে যান, আর দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে কারানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন মোহাম্মদ নওয়াজ (৫)। মোহাম্মদ ওয়াসিমের উইকেট হারিয়ে ৬ রান তুলতে পারে পাকিস্তান।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
বল হাতে ইংল্যান্ডের কারান ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া আদিল রশিদ ও ক্রিস জর্ডান ২টি করে উইকেট নেন।
নেমে প্রথম ওভারে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে মাত্র ১ রান করে বোল্ড হয়ে যান অ্যালেক্স হেলস। দ্বিতীয় ওভারেই নাসিম শাহকে তিন বাউন্ডারি মেরে সেই চাপ সামাল দেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার।
পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান পেসার হারিস রউফ। তৃতীয় ও পঞ্চম ওভারের জোড়া উইকেট টুলে নিলে ম্যাচে ফেরে বাবর আজমের দল। ফিল সল্টকে ১০ রানে বিদায়ের পর, ইংলিশ অধিনায়ক বাটলারকে তুলে নেন ২৬ রানের মাথায়।
বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুকস জুটি গড়ে দলের প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। দুই ব্যাটার দলের খারাপ সময়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৮৪ রানে ব্রুকস ২৩ বলে ২০ রান করে শাদাব খানের বলে সাজঘরের পথে।
স্টোকস, জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থেকে মইন আলী ১৯ রান করে আউট হলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে দলকে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জেতান। ছবিঃ সংগৃহীত।