ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে।
মঙ্গলবারের ভোটটি এমন এক সময় হচ্ছে যখন আমেরিকানরা উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সাথে লড়াই করছে। বর্তমানে অর্থনীতি ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান উভয় দলের সমর্থকদের মধ্যে শীর্ষ উদ্বেগ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির ইউএস ইলেকশন প্রজেক্টের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ৪ কোটি ১০ লাখেরও বেশি আমেরিকান ইতিমধ্যেই মেইল-ইন ব্যালট বা প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত ভোটের মাধ্যমে সারা দেশে তাদের ভোট দিয়েছেন।
ডেমোক্র্যাটরা বর্তমানে কংগ্রেসে একটি পাতলা সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে। ক্ষমতায় থাকা দল হিসাবে, ডেমোক্র্যাটরা রিপাবলিকানদের কাছে জায়গা হারাবে বলে বলছে প্রাথমিক সমীক্ষা।
রয়টার্স-ইপসোস পরিচালিত এক জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ মার্কিনি বাইডেনের পারফরম্যান্সে খুশি। জুনের শুরুর দিকে থেকে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। অংশ নেয়া ৭৮ শতাংশ সমর্থক বাইডেনের ওপর খুশি। গত মাসে এ সংখ্যা ছিলো ৬৯ শতাংশ। গত বছর আগস্ট থেকে বাইডেনের জনপ্রিয়তা পড়তির দিকে ছিলো। তখন থেকে তা ৫০ শতাংশের নিচে চলে যায়। সবচেয়ে বেশি নেমেছিলো এই বছর মে মাসে, ৩৬ শতাংশ।
নির্বাচনের আগের সমীক্ষায় বাইডেনের পক্ষে ওঠানামা করেছে। কংগ্রেসের স্পিকারের পরিবারের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব বিষয় মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। বিপরীতে কিছু সিদ্ধান্ত যেমন-৭ আগস্ট সিনেটে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে একটি ঐতিহাসিক বিল অনুমোদন পায়।
নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীদের সমর্থনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থীদের সমর্থনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেন। শেষ মুহুর্তেও তারা জনগণকে তাদের দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
কিছু পর্যবেক্ষক মঙ্গলবার পর্যন্ত ভোটদানে বাধা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে বৃহৎ আফ্রিকান আমেরিকান এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজ্যগুলিতে।
মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের বা প্রতিনিধি পরিষধের ৪৩৫টি আসনের সবকটিতে এবং সিনেটে ৩৪টি আসনের নিয়ন্ত্রণ পেতে ভোটে লড়ছে ডেমোক্র্যাটরা ও রিপাবলিকানরা। একাধিক রাজ্যে গভর্নর, রাজ্য আইনসভা, স্থানীয় কাউন্সিল এবং স্কুল বোর্ডগুলিতে পরিবর্তন হবে এই নিবার্চনের মাধ্যমে।
সূত্রঃ এপি, এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্স।