মঙ্গলবার ঢাকার ৮ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে এ মামলার জন্যে জামিন আবেদন করেন আল-আমিন। পরের দিন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার আট সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
আট সপ্তাহ পরে তাকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসর্মপণ করার জন্য বলেন আদালত। আজ হাইকোর্টের দেয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৮ নং আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২ সেপ্টেম্বর তা মামলা আকারে নথিভুক্ত করে মিরপুর মডেল থানা। ১৩ অক্টোবর মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী ইসরাত জাহান ও আল আমিনের বিয়ে হয়। তাদের দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়ালেখা করছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ না দেওয়া ও খোঁজও না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন।
গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাড়িতে এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসিসহ লাথি মেরেছেন।
সংসার করবেন না বলে জানান আল আমিন। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর আল আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সঙ্গে সংসার করবে না এবং সন্তানদের ভরণপোষণও দেবেন না। প্রয়োজনে স্ত্রীকে তালাক দেবেন।
আল আমিন বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের আসক্তের কারণে এই কাজ করেছে এবং একজন নারীর সঙ্গে তোলা ছবি ইসরাতের কাছে পাঠায়। ছবিঃ সংগৃহীত।