স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বের মতন হতে হবে। সব কথা একে অপরকে বলতে পারবেন।
স্ত্রীকে হিসাব করে কেউ কথা বলেন না, স্ত্রী স্বামীকেও বলেন না। কিছু কথা না বলাই ভালো, যা আপনার দাম্পত্যে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে।
আপনি হেসেই একটা কথা বললেন, তুমি অমুকের বউয়ের মতো না? শ্রাবণের ঝরঝর হয়তো ঝরল না, মনের মধ্যে যে অভিমানের এভারেস্ট হয়ে গেল, সে খবর আপনার অগোচরে থেকে গেলো। একজন মানুষকে অহেতুক এ কষ্ট দেবেনই বা কেন?
পারস্পরিক শ্রদ্ধার ব্যাপার পুরো বিষয়টিতে। ইচ্ছে করে যে এটি করেন, তা-ও নয়। কেউ কেউ অন্যকে ছোট করে, খোঁচা দিয়ে কথা বলে এক ধরনের বিকৃত আনন্দ পান। নিজের স্ত্রীকে ছোট করলে নিজেকেও ছোট হতে হয়। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার ভারসাম্য থাকা দাম্পত্যে জরুরি।
কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরী। যেমন, যে বিষয় নিয়ে রাগ করেছেন, শুধু সে বিষয়েই কথা বলুন। কোনো অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে নিয়ে আসবেন না। তাহলে স্ত্রীও আপনার সঙ্গে জেতার জন্য নানা প্রসঙ্গে কথা বলা শুরু করে দেবে।
- যত পারুন কম কথা বলুন। ভুলেও নেতিবাচক কথা বলবেন না। একদম চুপচাপও থাকবেন না। এতে মেয়েদের রাগ আরও বেড়ে যায়। তাই অল্প কথা দিয়ে সমস্যাটি সমাধান করুন।
- পুরনো কথা নিয়ে টানাটানি করবেন না। তাহলে আর রেহাই নেই। যে বিষয়ে রাগ করছেন, সেই প্রসঙ্গ নিয়ে ঝগড়া করুন। ঝগড়াটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- রাগের সময় যদি ঝগড়া করতে না চান, তাহলে স্ত্রীর সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকুন। আপনারা কথা বলছেন সমস্যাটি সমাধানের জন্য, একে অন্যকে দোষ দেয়ার জন্য না।
- স্ত্রী যদি আপনার সমালোচনা করে, তাহলে ধৈর্য ধরে চুপ থাকুন। তার কথার উত্তর দিয়ে ঝামেলা বাড়িয়ে লাভ কী বলুন? এর থেকে চুপচাপ তার কথাগুলো শুনুন।
- যখন স্ত্রী কথা বলতে থাকবেন তাকে ভুলেও থামিয়ে দেবেন না। তার কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন। না হলে ঝগড়ার শেষ হবে না।
- স্ত্রীকে উপদেশ দিতে যাবেন না। রাগের সময় স্ত্রীরা কোনো ধরনের উপদেশ শুনতে পছন্দ করেন না, বরং এগুলো শুনলে তার রাগের পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই রাগ কমার পর তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করতে হবে। প্রতীকী ছবি।
