ফারজানা নাজ শম্পা
হ্যালিফ্যাক্স, কানাডা
বছর ঘুরে আবার ফিরে এসেছিল দূর্গাপুজা,শরৎ এর নীল আকাশে তুলোট মেঘ কোমল পরশ বুলিয়ে পৃথিবীর বুকে কাশ ফুলের শুভ্রতার আগমনীর নির্মল সুরে হৃদয়ে পবিত্র আনন্দময় বার্তার অনুরণন নিয়ে আসেন দেবী মা দূর্গাবা পার্বতী। দেবী মা সঙ্কট মোচনের ও অশুভ শক্তি বিনাশের অঙ্গীকার নিয়ে আবির্ভুত হন, কথা সাহিত্যিক অর্ঘ্যরায় চৌধুরী’র তথ্যানুসারে তিনি দশ প্রহরণকারী রূপে দশ দিক হতে সকল অপশক্তি’র অবসান ঘটিয়ে রক্ষাকরেন। শারদীয়া দুর্গোত্সবের এই উৎসবের আনন্দে মায়ের আগমনে আত্মহারা হন সর্বস্তরের আপামর হিন্দুধর্মালম্বীরা। হিমালয়ের কন্যাদেবী দুর্গা বা পার্বতী বছরের এই সময় নিজের পিত্রালয়ে আসেন। তাঁর সঙ্গে থাকেনচার সন্তান লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ।
হিন্দু ধর্মালম্বদের বৃহত্তম ও অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। দূর্গা পুজার প্রচলনের সাথে উপমহাদেশে ও বাংলা সংষ্কৃতির হাজার বছরের ইতিহাস ধমীয় আচার ও রীতির নিবিড় ভাবে সম্পৃক্ত।কৃত্তিবাসী রামায়ণে,মারুকুন্ডোয়ে পুরাণে, মধ্যে যুগের বাংলাসাহিত্য, চীন পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙের বর্ণনায়, বাংলার আবহমান ইতিহাসে দূর্গা পূজার আয়োজনের বর্ণিল সু সমৃদ্ধ ইতিহাস বিশেষ লক্ষ্যণীয়। এই ভাবে একমাত্র ধমীয় উৎসবই নয় পাশাপাশি আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস ও সাংষ্কৃতিক পরিমণ্ডলে একটি অন্যতম স্থান করে নিয়েছে শারদীয় দুর্গাউৎসব। শরৎ কালেদেবী মা দুর্গা আসেন তাই এই উৎসবের অপর নাম ‘শারদীয় উৎসব’।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবছরও কানাডার হ্যালিফক্সেও সাড়ম্বরে হিন্দু ধর্মালম্বীরা ধমীয় আচার , রীতিমর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করেন দূর্গা পূজার উৎসব। আয়োজক সংগঠন ছিল ঐতিহ্যবাহী ‘মেরিটাইম শারদীয় সোসাইটি’। তিনদিন ব্যাপী সাড়ম্বরে দুর্গা পূজার উৎসব পালিত হয়।
উল্লেখ্য যে, শারদীয় সোসাইটি ১৯৭৬ সাল হতে সুষ্ঠু ভাবে আটলান্টিক কানাডায় বা মেরিটাইমসে পূজা সম্পন্ন করে আসছে। সেই সময় সর্বপ্রথম আয়োজন টি হয় মঙ্কটনে এবং সেই ধারাবাহিকতায় নব্বই সালের পূর্ব পর্যন্ত মঙ্কটন,পি ই আই,হ্যালিফ্যাক্সে পর্যায়ক্রমে সুষ্ঠু ভাবে দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৯০ সালে হতে হালিফ্যাক্সে’মেরিটাইম শারদীয় সোসাইটি ‘ তাঁদের নিয়মিত পূজার আয়োজন করছেন।
মেরিটাইম শারদীয় সোসাইটির মূল উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা হলেন কল্যাণ অধিকারী, শতদল দাশগুপ্ত , পার্থ গঙ্গোপাধ্যায় ও বনজ ভট্রাচার্য প্রমুখ। তাঁদের নিষ্ঠা,অক্লান্ত কর্মউদ্যোগে আজ শারদীয় সোসাইটি বর্তমানের পূর্ণাঙ্গতা লাভ করে দীর্ঘ সময় ব্যাপী হিন্দু ধমীর্য় ভাবাদর্শের পূর্ণ রূপ ধরে রেখেছ আটলান্টিক কানাডায়।
শারদীয় সোসাইটি আটলান্টিক কানাডায় সত্তর দশকে তাঁদের আয়োজনে সূচনা লগ্ন হতেই পুজা ও ধমীয় আরাধনার পাশাপাশি নিয়মিত ভাবে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছেন ও পুজার বিশেষস্মারক পত্রিকা প্রকাশ করে আসছে।
এই বছর শারদীয় সোসাইটির আয়োজনে গত তিরিশে সেপেম্বর, পহেলা ও ২ রা অক্টবর হ্যালিফ্যাক্স লোয়ারসকভিলের ‘বিভার ব্যাঙ্ক কমিউনিটি সেন্টারে’ তিনদিন ব্যাপী উদযাপন হয় বর্ণিল দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
কানাডার হ্যালিফ্যাক্স নোভা স্কোশিয়া হতেই নয় এর পাশাপাশি আটলান্টিক কানাডার বিভিন্ন শহর হতে নিষ্ঠাবান ধর্মানুরাগী হিন্দু অনুসারীরা দেবী মায়ের দর্শনের প্রত্যাশায় হালিফ্যাক্সের পূজার আয়োজনে সোসাইটি’র দূর্গাপূজার আয়োজনে সমবেত হন। তিনদিনের আয়োজনে সমাগম ঘটেছিল তিনশোর বেশি অথিতির।
এছাড়া মূলধারার জনগোষ্ঠী হতে অথিতিরা এসেছিলেন যা আয়োজনের সার্বজনীন রূপ কে ফুটিয়ে তুলেছিল।
শুক্রবার মহাসপ্তমী, শনিবার অষ্টমী ও মহা নবমী ও রবিবার বিজয়া দশমী পালিত হয়। শনিবার অষ্টমীর সকালে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন হ্যালিফ্যাক্স রিজিওনাল মিউনিসিপ্যালিটির ( এইচ আর এমের ) মেয়র মাইকশ্যাভেজ এবং কাউন্সিলার লিসা ব্লকবার্ন। তাঁরা প্রদীপ জ্বালানো ও অথিতি অভ্যাগতদের সাথে মত বিনিময়করেন এবং হিন্দু শাস্ত্র সমন্ধে কিছুটা ধারণা লাভ করেন। মেয়র মাইক স্যাভেজ ও হ্যালিফ্যাক্সের ডিস্ট্রিক্ট ১৪ রকাউন্সিলার লিসা ব্ল্যাকবার্ন কানাডার ধমীয় সম্প্রতির বিষয়টি তাঁদের শুভেচ্ছা বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনদিনের এই বর্ণাঢ্য আয়োজনে পূজার রীতি অনুসারে আরাধনা, মন্ত্রপাঠ, পুষ্পাঞ্জলি প্রাসাদ , চরণামৃত মিষ্টিফল ও মধ্যাহ্ন ভোজনের ও উপাদেয় নৈশাহারের আয়োজন করেন এবং সন্ধ্যায় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবারের সন্ধ্যার সাংষ্কৃতিক আয়োজনে বিভিন্ন পরিবেশনায় ছিল জাগো দূর্গা গানের সাথে দলীয় নৃত্য ,সৃজনপালের চমৎকার ভাবে মৌমাছি মৌমাছি কবিতা আবৃত্তি , শ্রেয়সী পালের ‘দেখেছ কি বত তাঁকে ‘গানের সঙ্গে সুন্দর একক নৃত্য, ওমি সেনগুপ্তে ”সুন্দর একক আবৃত্তি ,অত্রি সেনগুপ্তে প্রান্তবন্ত একক আবৃত্তি, মেহুল দত্ত ও পার্থিব চৌধুরীর ক্যাকটাস ব্যান্ডের যৌথ সংগীত হলুদ পাখি, মনোস্রীজা স্যান্নাল ও মিথিকা ‘মহামায়ার টানে কবিতা হতে আবৃত্তি,আদরি মিত্র’র চমৎকার ভাবে শিব তান্ডব নৃত্য,সায়ান দত্ত চমৎকার ভাবে সুনীল গঙ্গোপাঠায়ের কবিতা হতে একক আবৃত্তি, নবনীতা চক্রবর্তী চমৎকার ভাবে একক নৃত্য ‘ তপতিনি ‘ রিকভান রায় ও মল্লিকা র যৌথ আবৃত্তি করেন গণপতি অথর্বশিরাম ,অস্মিতা মিত্র ও বীথিকা বসাকের মেঘবালিকর জন্য রূপকথা হতে অসাধারণ যৌথ আবৃত্তি,ধীমান চৌধরীর ‘বান ভাসি ‘ কবিতা হতে একক হৃদয়স্পর্শী এক আবৃত্তি পরিবেশনা উপহার দেন।
শনিবারের সন্ধার সাংকৃতিক আয়োজনের বিভিন্ন পরিবেশনায় ছিল ছিল জয়ন অধিকারী একেক সংগীত , অমৃতাও তার দলের দলীয় নৃত্য ,শমিতা শীল ‘পূজার সাজ ‘ কবিতাটি হতে প্রাণবন্ত আবৃত্তি , পৃথুলা চৌধুরী অসাধারণভাবে একক ভাবে নৃত্য পরিবেশন উপহার দেন ভরত নাট্যম ,ঐন্দ্রিলা গুপ্ত এর ভায়োলিন সুরের মুছোনা , ডালিয়াদাস ও জ্যোতি চৌরুরী ক্যাসিলাল ও ফোক চমৎকার ভাবে পরিবেশন করেন ,সম্পিত বেগ একক প্রাণবন্ত ভঙ্গিমায়আবৃত্তি করেন মল্লিকা সেনগুপের কবিতা ,অনিন্দিতা রায় পূজা দূর্গা এলো পরিবেশন ,শ্রুতি চক্রবর্তী ,স্বপন মুখার্জিও রুচিরা ভট্রাচার্য সুন্দর ভাবে পরপর তিন টি সংগীত , অনুষ্ঠানের শেষে শিক্ষা বিভাগে একটি কলেজ এ শিক্ষক নিয়োগে বিরাজমান উৎকোচ গ্রহণ দুর্নীতি বিষয়ে অসাধারণ বাংলায় অনূদিত নাটক পরিবেশনা করা হয়। সাবলীল ভাবে হাস্যরসাত্মক আবহে। অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা অভিনয় পারদঅর্শিতা আর দক্ষতার সাথেসমাজের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি অসঙ্গতি দিক টি তুলে ধরেন। নাটকটি পরিচালনা দায়িত্ব ছিল ইন্দ্রনীল দত্ত।অভিনয়ে শর্মিষ্ঠা সেনগুপ্ত , অঞ্জলি ভৌমিক ও বিষ্ণু দাসগুপ্ত ,ডলি দাসগুপ্ত নারায়ণ রায় , সৈকত মুখার্জি , হেমন্ত দত্ত ও জলি পাল।
ধর্মীয় aradhonarবাংলার সাহিত্য ও সংষ্কৃতির অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছিল তিন দিনের এই সামগ্রিক আয়োজনে আবৃত্তি , নৃত্য সংগীত পরিবেশনায় শিল্পীরা উপমহাদেশের দ্রুপদী ঘারানা বাংলার সাহিত্য কৃষ্টি ও সাহিত্য সংকৃতিকে সুচারু ভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হন।
দূর্গা পুজার উৎসবের এই আয়োজন প্রকৃত অর্থে হিন্দু ধর্মীয় আরাধনা ও বাংলার কৃষ্টির একটি চর্চা অন্যতম মাধ্যম। হ্যালিফ্যাক্সের এই তিন দিনের’ অনুষ্ঠানের এই সাংষ্কৃতিক পর্বের পরিবেশনার অসাধারণ প্রাণবন্তভাবে সঞ্চালনা উপহার দেন ডলি দাসগুপ্ত , সুজাতা বেণুগোপাল ও নিপা তালুকদার।
বিজয়া দশমীতে সিঁদুর উৎসবে দেবীর বিদায় দিনে চলে পবিত্র জলদান শঙ্খ আর উলুধ্বনি, দেবীর চরণে ভক্তিনিবেদন শেষে সিঁদুর খেলা আনন্দ ময় উজ্জ্বলতায় মেতে উঠেন সবাই।মায়ের বিদায় লোগোনের সবার বেদনা বিধুর পরিবেশের সৃষ্টি হয় সবাই অপেক্ষায় থাকেন আগামী বছর মায়ের আগমনের বহু প্রতীক্ষিত এই দিনটির জন্য।
একটি বড় উদ্যোগের আয়োজনে সফলতার নেপথ্যে থাকে অসংখ্য মানুষের নিরলস শ্রম। প্রতি বছর সর্বসম্মতি ক্রমে শারদীয় সোস্যাইটির পুজার আয়োজক কমিটি গঠিত হয় আর এই বছর পূজা আয়োজক কমিটি দায়িত্বপ্রাপ্তরা ছিলেন প্রেসিডেন্ড কৃষ্ণা দাসগুপ্ত , ভাইস প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় চৌধুরী এবং কোষাধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল দত্ত। সংষ্কৃতিক বিভাগের আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন চন্দ্রা দাসগুপ্ত , সৈকত মুখার্জি , প্রকাশনা ম্যাগাজিন মুনমুন মুখার্জি ও দেবশ্রী শ্যানেল। যোগাযোগ বিভাগে প্রদীপ রায় ও অস্মিতা মিত্র। প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ পরিচালনা দায়িত্বে ছিলেন সৈকত মুখার্জি , অভি বিশ্বাস ,সায়ান দত্ত , ঋত্বিক দাস ও সমীরণ পাল। চমৎকার ভাবে ধমীয় বাংলার কৃষ্টির আবহে মঞ্চ অন্যান্য সজ্জা জলি পাল এবং চন্দ্রা দাসগুপ্ত।
প্রতিমা প্রতিস্থাপনের দায়িত্ব ছিলেন ধীমান চৌধুরী ,বিষ্ণু দাসগুপ্ত, নীলগিরি চ্যাটার্জি ,সঞ্জয় চৌধুরী , এছাড়াছিলেন বিজন , সন্দীপি , দেব জ্যোতি ও শুভদীপ। তিনদিনের খাবার প্রস্তুতের রান্নাঘরের বিভিন্ন কাজে সেচ্ছাসেবকবা ভলেন্টিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন সংযুক্তা দত্ত , দেবশ্রী সান্যাল , শুভঙ্কর মিত্র , সীমান্তি গুপ্ত , নবনীতা চক্রবর্তী , সঞ্জয় গুপ্ত , কৃষ্ণা দাসগুপ্ত , শ্রেয়া মন্ডল , বীথিকা বসাক , হেমন্ত অন্তরা স্বরূপ , বিভূতি , মুক্তি , প্রজ্জ্বল রুমা ওনারায়ণ , মুনমুন , অঞ্জল , পূজা , কল্লোল, অনিক ও মরগ্যান। রান্নায় ও খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে ছিলেন অভিন্দন বিশ্বাস , বিজ্ঞান মজুমদার , শ্রেয়া মন্ডল , অস্মিতা মিত্র , দেবশ্রী স্যান্নাল , কৃষ্ণা দাসগুপ্ত , চন্দ্রা দাসগুপ্ত , কৃষ্ণা গেরওয়াল ,মানালি , ইন্দ্রনীল , সৈকত , নবনীতা , মুনমুন , জলি , সমীরণ , রুমা , ণর , দেবী , অরূপ , মল্লিকা ও প্রদীপ।
সেন্টারের কমিউনিটি রান্নাঘরে সার্বিক রান্নায় আয়োজনের অভিন্দন বিশ্বাস , বিজন মজুমদার, শ্রেয়া মন্ডল,অস্মিতা মিত্র , দেবশ্রী সান্যাল , কৃষ্ণা দাসগুপ্ত , চন্দ্রা দাসগুপ্ত , যুথিকা , নীলগিরি , সৈকত , নবনীতা , মল্লিকা , প্রদীপ , রুমা , সমীরণ , জলি , সংযুক্তা ও হেমন্ত।
মা দুর্গা প্রতিমা কে সাজানোর দায়িত্বে ছিলেন সুজাতা বেণুগোপাল। পূজা সংক্রান্ত বিভিন্ন দায়িত্বভার সুষ্ঠু ভাবে পালন করেন স্মৃতি চৌধুরী , দেবশ্রী ও মিহির সান্যাল , মুনমুন ভৌমিক , জলি পাল , রুমা , নারায়ণ , পূজা , কল্লোল , নবনীতা চক্রবর্তী , দেবী চক্রবর্তী , কৃষ্ণ দাসগুপ্ত , সঞ্জয় চৌধরী , শর্মিষ্ঠা সেনগুপ্ত মিশু , কৃষ্ণা দাসগুপ্ত , চন্দ্রা দাসগুপ্ত ডলি , দেবশ্রী শানাল , সংযুক্তা এবং হেমন্ত উজ্জ্বল চক্রবর্তী।
সকলের সুষ্ঠু আন্তরিক পরিচালনায় তিন দিনে সামগ্রিক ভাবে পূজার আয়োজনের সফল সমাপ্তি ঘটে।
আমার নিয়মিত প্রাসঙ্গিক তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন সঞ্জয় চৌধুরী ও নীলগিরি চ্যাটার্জি তাঁদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
হ্যালিফ্যাক্সে দুর্গা পূজার উৎসব এর সামগ্রিক ভাবে আয়োজক আর সেচ্ছেসেবক সবার মাঝেই ছিল ধমীর্য় নিষ্ঠা , ঐকান্তিক উদ্যোগ , পারস্পরিক সহমর্মিতা , বিনম্র আতিথেয়তা। সবার একনিষ্ঠ ও আন্তরিক উদ্যোগে সমন্বয়ে শারদীয় সোসাইটির দূর্গা পুজা সফল উৎসবের রূপ লাভ করেছিল। ধমীয় আদর্শ , কৃষ্টি আর মানবিক সম্প্রীতির শুদ্ধ আদর্শ স্নাত ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র দেশে প্রবাসে তাই আমাদের একান্ত প্রত্যাশা। কাজে সেচ্ছাসেবকবা ভলেন্টিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন সংযুক্তা দত্ত , দেবশ্রী সান্যাল , শুভঙ্কর মিত্র , সীমান্তি গুপ্ত , নবনীতা চক্রবর্তী , সঞ্জয় গুপ্ত , কৃষ্ণা দাসগুপ্ত , শ্রেয়া মন্ডল , বীথিকা বসাক , হেমন্ত অন্তরা স্বরূপ , বিভূতি , মুক্তি , প্রজ্জ্বল রুমা ওনারায়ণ , মুনমুন , অঞ্জল , পূজা , কল্লোল, অনিক , মরগ্যান , l রান্নায় ও খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে ছিলেনঅভিন্দন বিশ্বাস , বিজ্ঞান মজুমদার , শ্রেয়া মন্ডল , অস্মিতা মিত্র , দেবশ্রী স্যান্নাল , কৃষ্ণা দাসগুপ্ত , চন্দ্রা দাসগুপ্ত , কৃষ্ণা গেরওয়াল ,মানালি , ইন্দ্রনীল , সৈকত , নবনীতা , মুনমুন , জলি , সমীরণ , রুমা , ণর , দেবী , অরূপ , মল্লিকা ও প্রদীপ
সেন্টারের কমিউনিটি রান্নাঘরে সার্বিক রান্নায় আয়োজনের অভিন্দন বিশ্বাস , বিজন মজুমদার, শ্রেয়া মন্ডল,অস্মিতা মিত্র , দেবশ্রী সান্যাল , কৃষ্ণা দাসগুপ্ত , চন্দ্রা দাসগুপ্ত , যুথিকা , নীলগিরি , সৈকত , নবনীতা , মল্লিকা , প্রদীপ , রুমা , সমীরণ , জলি , সংযুক্তা , হেমন্ত i
মাদুর্গা প্রতিমা কে সাজানোর দায়িত্বে ছিলেন সুজাতা বেণুগোপাল l পূজা সংক্রান্ত বিভিন্ন দায়িত্বভার সুষ্ঠু ভাবেপালন করেন স্মৃতি চৌধুরী , দেবশ্রী ও মিহির সান্যাল , মুনমুন ভৌমিক , জলি পাল , রুমা , নারায়ণ , পূজা , কল্লোল , নবনীতা চক্রবর্তী , দেবী চক্রবর্তী , কৃষ্ণ দাসগুপ্ত , সঞ্জয় চৌধরী , শর্মিষ্ঠা সেনগুপ্ত মিশু , কৃষ্ণা দাসগুপ্ত , চন্দ্রা দাসগুপ্ত ডলি , দেবশ্রী শানাল , সংযুক্তা , হেমন্ত উজ্জ্বল চক্রবর্তী l
সকলের সুষ্ঠু আন্তরিক পরিচালনায় তিন দিনে সামগ্রিক ভাবে পূজার আয়োজনের সফল সমাপ্তি ঘটে l আমারনিয়মিত প্রাসঙ্গিক তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন সঞ্জয় চৌধুরী ও নীলগিরি চ্যাটার্জি তাঁদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
হ্যালিফ্যাক্সে দুর্গা পূজার উৎসব এর সামগ্রিক ভাবে আয়োজক আর সেচ্ছেসেবক সবার মাঝেই ছিল ধমীর্য় নিষ্ঠা , ঐকান্তিক উদ্যোগ , পারস্পরিক সহমর্মিতা , বিনম্র আতিথেয়তা। সবার একনিষ্ঠ ও আন্তরিক উদ্যোগে সমন্বয়ে শারদীয় সোসাইটির দূর্গা পুজা সফল উৎসবের রূপ লাভ করেছিল।ধমীয় আদর্শ, কৃষ্টি আর মানবিক সম্প্রীতির শুদ্ধ আদর্শ স্নাত ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র দেশে প্রবাসে তাই আমাদের একান্ত প্রত্যাশা।