মোল্লা জসিমউদ্দিন, উঃ ২৪পরগণাঃ মছলন্দপুর পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দারস্থ হতে পারেন নির্যাতিতা।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার সহবাস এবং পুলিশের একাংশের মদতে সেটাকে বন্ধুত্ব বলে জোর করে লিখিয়ে নেওয়ার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বসিরহাটের মছলন্দপুরে।
অভিযোগ – ‘মছলন্দপুরের অঙ্কুর প্রধান গত একবছর ধরে ক্যানিং এর একটি মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বার বার সহবাস করে থাকে। অভিযুক্ত ছেলেটি বিয়ে করতে শেষমেশ অস্বীকার করে, যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় মেয়েটির সাথে।অভিযোগ, এই বিষয়ে সম্প্রতি মছলন্দপুর পুলিশ ফাঁড়ি বিষয়টি নিস্পত্তি করার নামে ডাকে দু-পক্ষকেই। সেখানে আগে থেকেই ছেলেটির উকিল ও পুলিশ সব কাগজ সাজিয়ে রেখেছিল বলে অভিযোগকারীর দাবি।আরও দাবি, – ‘পুলিশ ফাঁড়িতে যাওয়া মাত্রই মেয়েটির ফোন কেড়ে নেয় এবং এক কাগজে সই করতে বলে, সেখানে লেখা ছিলো -অঙ্কুর প্রধান(ছেলেটির সাথে আমার বন্ধুর সম্পর্ক ছিলো আমাদের মধ্যে আর কোন রিলেশান থাকলো না)। মেয়েটি প্রথম দিকে ওই কাগজে সই করতে না চাইলেও পরে সই করতে বাধ্য হয় বলে দাবি। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী শমীক বাগচী ও তববাসুম বেগম এর পরামর্শ মত মেয়েটির তার বাড়ীর সংশ্লিষ্ট থানা ক্যানিং এএফআই করে থাকে।
]
এরপর অভিযুক্ত অঙ্কুর প্রধান গ্রেফতার হয়।চলতি সপ্তাহে আলিপুর আদালতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ধৃত কে এজলাসে পেশ করা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়। অভিযোগকারী মেয়েটির অভিযোগ গুরত্ব না দেওয়া এবং বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার আড়ালে যে সমস্ত পুলিশ অফিসারের মদত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের ভ্যাকেসান বেঞ্চে মামলা করার কথা ভাবছেন মেয়েটির আইনজীবী শমীক বাগচী ও তববাসুম বেগম। যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।